আসন্ন পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দল মুখোমুখি হবে এবং তাদের আইসিসি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২১-২৩ অভিযান শুরু হবে। গতবারে উভয় দলই ভালো পারফর্ম করা সত্ত্বেও কেউই ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ১৮৮২ সাল থেকে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অ্যাশেজ সিরিজ হয়ে আসছে। তবে এবারে এমন ৩ জন খেলোয়াড় আছেন যারা এই দুই দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করেও আসন্ন সিরিজে খেলবেন। এবার দেখে নেওয়া যাক:
১) মারনাস লাবুশেন: গতবারের অ্যাশেজ সিরিজের সময় মারনাস লাবুশেন লাইমলাইট এসেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল তার। তিনি ৭ ইনিংসে ৫০.৪৩ গড়ে ৩৫৩ রান করেছিলেন এই ২৭ বছর বয়সী তারকা। সেই থেকেই তিনি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করেছেন। তবে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সে দেশের হয়ে একটিও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ টেস্ট ও ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচ ক্যাঙ্গারুদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
২) মাইকেল নেসার: দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী আরেক ক্রিকেটার মাইকেল নেসার, যিনি আসন্ন সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলবেন। এই ৩১ বছর বয়সী বোলিং অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এখনও পর্যন্ত দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। সম্ভবত অ্যাশেজ সিরিজে তার টেস্ট দলে অভিষেক হবে। এই ডানহাতি পেসারের ৬৯টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে যেখানে তিনি ২২৯টি উইকেট শিকার করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়া দলে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জোশ হজলউডের মতো ফাস্ট বোলার থাকায় নেসারের খেলার সম্ভাবনা কম।
৩) বেন স্টোকস: ইংল্যান্ডের বাইরে জন্মগ্রহণকারী বেশ কিছু খেলোয়াড় বর্তমান ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বেন স্টোকস, যাকে ২০২১-২২ অ্যাশেজ সিরিজে খেলতে দেখা যাবে। এই ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি এখনও পর্যন্ত ৭১ টেস্ট, ১০১ ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি বিশ্বকাপ জয়ের বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ৯৮ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যান। অবশেষে দুই প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ড জয়লাভ করে। সামগ্রিকভাবে তিনি ২০৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৭,৯৪৪ রান করেছেন ও ২৫৬টি উইকেট নিয়েছেন।