৩ ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় যারা অন্য দেশের হয়ে ভারতের বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করেছেন

বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতের ক্রিকেট অনুরাগী সংখ্যা অনেক বেশি। ১৯৮৩ সালে যখন ভারত প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন থেকেই এই খেলাটির প্রতি মানুষের উন্মাদনা আরও বেড়ে যায়। ভারতের লক্ষ লক্ষ তরুণ খেলোয়াড় দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু হাতেগোনা কয়েকজন খেলোয়াড়ই সুযোগ পান। 

তবে এখনও পর্যন্ত এমন অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন বা তাদের পরিবারের সাথে ভারতের কোন সম্পর্ক রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু খেলোয়াড় আবার ভারতের বিপক্ষেই অধিনায়কত্ব করেছেন। এই প্রতিবেদনে সেই ৩ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো:

১) নাসির হুসেন:

ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাসির হুসেন ১৯৬৮ সালে চেন্নাইতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তার পরিবারের সাথে ইংল্যান্ডে চলে এসে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন এবং অধিনায়কও হয়েছিলেন। নাসির হুসেন ৫৬টি ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেছিলেন যার মধ্যে দলটি ২৮টি জেতে। এরমধ্যে কয়েকটি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলার সময় ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাসির হুসেন। তবে সবচেয়ে স্মরণীয় ছিল ২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনাল, যেখানে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল ভারতীয় দল।

২) হাশিম আমলা:

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন খেলোয়াড় হাশিম আমলারও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। প্রোটিয়া দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সময় হাশিম আমলা অনেক রেকর্ড নিজের নামে করেছেন। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান তার ক্যারিয়ারে ১২৪ টেস্ট, ১৮১ ওয়ানডে এবং ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৫ সালে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ভারত সফর করে তখন প্রোটিয়া দল আমলার নেতৃত্বে ৪ টেস্টের সিরিজ খেলেছিল, যেখানে ভারত সফরকারী দলকে ৩-০ তে পরাজিত করে।

৩) কেশব মহারাজ:

বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের পূর্বপুরুষরা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর জেলার বাসিন্দা। তার বাবা আত্মানন্দ মহারাজও নিজেও ঘরেও ক্রিকেটে উইকেটকিপিং করেছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ভারতে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছিল, তখন পঞ্চম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছিলেন কেশব মহারাজ। যদিও এই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে অমীমাংসিত হয়। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভূমার চোটের কারণে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেশব মহারাজ ভারতের বিপক্ষে অধিনায়ক হয়েছিলেন।