বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত শর্মা। তবে তার বিশ্রাম ও চোটের কারণে একাধিক খেলোয়াড়কে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়ক হয়েছেন শিখর ধাওয়ান, যিনি চলতি বছরে সপ্তম ভারতীয় অধিনায়ক হন। বছরের শুরুতেই বিরাট কোহলি ব্যর্থতার কারণে অধিনায়কত্ব ছাড়েন। এরপর পূর্ণ সময়ের জন্য দলনেতা হন রোহিত শর্মা।
২০২২ সালে রোহিত শর্মা টানা ১৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়েছেন। সেই সাথে বেশ কয়েকটি সিরিজও পকেটে পুরেছে ভারতীয় দল। একই সঙ্গে কিছু ভারতীয় অধিনায়ক যারা খন্ডকালীন নেতৃত্ব পেলেও একটিও ম্যাচে দলকে সাফল্য দিতে পারেন নি। এই প্রতিবেদনে সেই ৩ জন হতভাগ্য অধিনায়কের কথা বলা হয়েছে:
১) বিরাট কোহলি: ১ ম্যাচ ১ হার
২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত জয় পায় ভারতীয় দল। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে চোটের কারণে বাইরে থাকেন। এরপর তৃতীয় টেস্টে ফিরে আসেন তিনি। এই ম্যাচে ভারতীয় খেলোয়াড়রা সেভাবে পারফরম্যান্স করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১২ রানের টার্গেট দিলে তারা ৭ উইকেটে জিতে নেয়। এরপর বিরাট কোহলি হঠাৎ টেস্ট দল থেকে অধিনায়কত্ব ত্যাগ করেন।
২) কে এল রাহুল: ৪ ম্যাচ ৪ হার
২০২২ এর শুরুতেই বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়ক হন কেএল রাহুল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য তিনি মনোনীত হন, যেখানে ভারতীয় দল কেএল রাহুলের নেতৃত্বে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ফলে একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচে পরাজিত হন কেএল রাহুল।
৩) জাসপ্রিত বুমরাহ: ১ ম্যাচ ১ হার
গত বছরে ভারত ইংল্যান্ড সফর করেছিল যেখানে পঞ্চম টেস্ট ম্যাচটি বাতিল হয়। এরপর চলতি বছরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে অধিনায়ক হন জাসপ্রিত বুমরাহ। টেস্টের প্রথম ইনিংসে পান্ত ও জাদেজার জোড়া সেঞ্চুরিতে ভারতীয় দল ৪১৬ রান করে। জবাবে ইংল্যান্ড ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায়। এরপর ভারতীয় দল দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭৮ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর জোড়া সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী হয়।