জানেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না কেন

সভ্যতার প্রথম থেকেই মানব জীবনে ট্রেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে টেনশন সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য রয়েছে যা এখনও অনেকেই জানেন না। আমরা লক্ষ্য করেছি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলেও এর ইঞ্জিন কখনো বন্ধ করা হয় না। এই নিয়ে আমাদের মাথায় নানান প্রশ্ন জাগে। যাই হোক এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

আসলে ট্রেনের ইঞ্জিন বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপ করার পরেই চালু করতে হয়। আর ইঞ্জিন চালু করতে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগে। এর মধ্যে যদি হঠাৎ হলুদ বা সবুজ সিগন্যাল ছেড়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয় তাহলে তাৎক্ষণিক সময়ের মধ্যে ট্রেন যেতে পারে না ইঞ্জিন বন্ধ থাকলে। এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য ট্রেনের ইঞ্জিন সব সময় চালু রাখতে হয়।

এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিনগুলোতে এয়ার কম্প্রেসার ব্রেক থাকে যা সঠিক কাজ করার জন্য বাতাসের চাপের প্রয়োজন হয়। আর ইঞ্জিন চালু না থাকলে এয়ার কম্প্রেসারও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ব্রেকের সঠিক কাজ করার জন্য এয়ার কম্প্রেসারের প্রয়োজন হয়। এই কারণেও ট্রেন স্টেশনে পৌঁছানোর পরেও রেল ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না।

বিশেষ করে ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিন এর ক্ষেত্রে চালু করার জন্য পূর্ণ ব্যাটারির চার্জ থাকা প্রয়োজন হয়। যেহেতু ট্রেনের লাইট ও আনুষাঙ্গিক উপকরণগুলি ব্যাটারির সাহায্য চলে, তাই এইগুলো ব্যবহারের ফলে ব্যাটারিতে সঠিক চার্জ থাকেনা। সেই ক্ষেত্রেও রেল ইঞ্জিন চালু করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আর সেই কারণেই ডিজেল ইঞ্জিনগুলো স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ করা হয় না। আসলে ডিজেল ইঞ্জিন চালু করার সময় তাপমাত্রাকে সর্বোত্তম স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করতে হয়। তাই বারবার ইঞ্জিন বন্ধ ও চালু করার ফলে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হবার জন্য ইঞ্জিন চালু অবস্থায় রাখা হয়।