আমেরিকা ও ইউরোপে সরিষার তেল নিষিদ্ধ কেন? কারণ জানলে আপনিও অবাক হবেন

যে কারণে ইউরোপ বা আমেরিকার দেশগুলিতে সরিষার তেলের রান্না হয় না

Mustard Oil : রান্নার জন্য অনেক ধরনের তেল রয়েছে, যেমন সরিষার তেল, জলপাই তেল তিসির তেল, সয়াবিন তেল, নারকেল তেল ইত্যাদি। কিন্তু ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশগুলিতে মানুষ রান্নায় বেশিরভাগ সরিষার তেল ব্যবহার করে। এটাকে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে আমেরিকা বা ইউরোপের মতো দেশগুলিতে সরিষার তেল নিষিদ্ধ।
এসব দেশে সরিষার তেল ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু কেন জানেন? বা তারা কোন তেলে রান্না করে? এবার পুরো বিষয়টি জেনে নিন।

Image

সরিষার তেলের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। ব্যথা এবং ফোলা কমায়। সরিষার তেল জয়েন্টে ব্যথা হলে কর্পূর দিয়ে গরম করে লাগালে দ্রুত ব্যথা উপশম হয়। স্বাস্থ্যকর চুল ও ত্বকের জন্যও সরিষার তেল খুবই উপকারী।

এই তেল ভারতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আমেরিকায় এটি নিষিদ্ধ। আসলে, আমেরিকায় খাদ্য দপ্তর থেকে সরিষার তেল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই তেলে ইরুসিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেকটাই বেশি, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইরুসিক একটি ফ্যাটি অ্যাসিড যা ভালোভাবে বিপাক হয় না।

Image

এও বলা হয়েছে যে, সরিষার তেল মস্তিষ্কের কোষের জন্য ভালো নয়। স্মৃতিশক্তি কমায় এবং শরীরে চর্বি জমে। আমেরিকা ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাতেও রান্নায় এই তেল ব্যবহার নিষিদ্ধ।এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন, তাহলে ওখানে খাবার রান্না হয় কোন তেলে?

আমেরিকা ও ইউরোপে রান্নার কাজে সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়। সয়াবিন তেলে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা কোলাজেনকে উৎসাহিত করে। এতে শরীর ও ত্বকে নমনীয়তা আসে। মুখের বলিরেখা কমে যায়। এটি মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক। সয়াবিন তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুলের জন্য অপরিহার্য।