জানেন বিশ্বকর্মা পূজার দিন ঘুড়ি ওড়ানো হয় কেন

আজ ১৭ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পূজা। বলা হয় এই পুজো শারদীয়া উৎসবের আগাম বার্তা নিয়ে আসে। এই পূজা মানেই আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর খেলা। আসলে এই বিশেষ দিনটিতে বহুকাল ধরেই ঘুড়ি ওড়ানোর সনাতনী প্রথা চলে আসছে। 

যাইহোক এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিশেষ দিনটিতে ঘুড়ি ওড়ানো হয় কেন? এ বিষয়ে অনেকেরই অজানা। এই সম্পর্কে জানতে হলে একটু পুরান ঘেঁটে দেখতে হবে। কথিত আছে বিশ্বকর্মা হলেন দেবলোকের কারিগর। ব্রহ্মার নির্দেশেই এই নাকি তিনি স্বর্গলোকের নির্মাণ করেছিলেন। এমনকি শ্রীকৃষ্ণের দারোকা নগরীর নির্মাণ কর্তাও নাকি তিনিই।

Image

ঋকবেদ অনুসারে, স্থাপত্য ও যন্ত্র বিদ্যার অর্থাৎ স্থাপত্য বিদ্যার জনক হলেন বিশ্বকর্মা। তার হাতেই তৈরি হয়েছিল দেবতাদের উড়ন্ত রথ। আর এই বিষয়টিকেই স্মরণ করে ঘুড়ি ওড়ানোর চল শুরু হয়। খবর সূত্রে জানা গেছে, ১৮৫০ সাল থেকে বাংলায় বিশ্বকর্মা পূজার দিন ঘুড়ি উড়ানোর প্রচলন শুরু হয়েছিল।

এও শোনা যায় তৎকালীন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নাকি, ঘুড়িতে টাকা বেঁধে আকাশে ছেড়ে দিতেন। আবার কেউ কেউ নিজের প্রভাব দেখানোর জন্য টাকা দিয়েই একটা আস্ত ঘুড়ি বানিয়ে ফেলতেন। বর্ধমানের রাজবাড়িতেও ঘুড়ি ওড়ানোর চল ছিল।

এই বর্ধমানের রাজ পরিবার নাকি এসেছিলেন সুদূর পাঞ্জাব থেকে। এই দিনটিতে পাঞ্জাবেও ব্যাপকভাবে ধুমধাম করে পালন করা হয়। আর তখন থেকেই নাকি বর্ধমানের ঘুড়ির উৎসব শুরু হয়েছিল। তবে দুঃখের বিষয় যে আজকালকার আর কেউ লাটাই হাতে মাঠে বাড়ির ছাদে যায় না। সবাই এখন স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত।