Prosenjit-Rituparna: ৯০ এর দশকে সমসাময়িক টলিউডে অনেক জুটি থাকলেও এই ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta) ও প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterje) দর্শকদের মনে এখনও গেঁথে রয়েছেন। এই রোমান্টিক জুটি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে উপহার দিয়েছেন ৫০টির বেশি সেরা ছবি। এই জুটির চলচ্চিত্র মানেই সেই তা বক্সঅফিসে তুমুল সাফল্য। একাধিক সিনেমায় এই জুটি চুটিয়ে অভিনয় করেছেন।
দুজনের অনস্ক্রিন রসায়ন দেখে দর্শকের একাংশ মনে করতেন যে তাঁরা হয়ত বাস্তবেও প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। যদিও তারা পরস্পরের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। দুজনের সম্পর্ক কেনো ভেঙেছিল তা নিয়েও অনেক জল্পনা হয়। তাদের ভক্তরা মনে করে যে দুজনের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে আর তাতেই বিপত্তি বাধে।
সেই সময়ে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়াও কম হয়নি। আর ঠিক তখনি প্রসেনজিৎ এর দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার পর্যায়ে চলে যায়। ফিল্ম ইন্ডাস্টি থেকে শুরু করে চারদিকে এতটাই মিথ্যে রটনা রটে ছিল যে এই যুগল, একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। আর তাহল তাঁরা আর একসঙ্গে কাজ করবেন না।
অবশ্য দুজনের মধ্যে হওয়া কিছু মতভেদও অনুঘটকের কাজ করেছে এই জুটি ভাঙার ক্ষেত্রে। কেউ কেউ আবার এও দাবি করেন যে, ঋতুপর্ণার বিয়ের দিন প্রসেনজিৎ-এর মুখ ছিল একেবারে মর্মপীড়িত। এই নিয়ে ভালোই খবর প্রচার হয়। বাস্তবে কিন্তু মোটেই এমনটা ছিলনা। আসলে তাদের বিরুদ্ধে গুজব রটিয়ে এই হিট জুটি ভাঙার চেষ্টা করেন অনেকে।
জুটি ভাঙার পর আবার পর্দায় ফিরতে প্রায় দীর্ঘ ১০টা বছর সময় লেগেছিল। এরপর ‘প্রাক্তন’ ছবির হাত ধরে আবার তার পর্দায় ফেরে। প্রসেনজিৎ-এর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ তেও অভিনয় করেন ঋতুপর্ণা। বহু বছর বাদে আবার জনপ্রিয় জুটিকে পর্দায় ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি হন তাদের ভক্তরা।
