হিন্দু নারীদের শ্মশানে যাওয়া নিষেধ কেন, ৫নং কারণটি পড়লে ভয় পেয়ে যাবেন!

Ban on cremation for women: বাড়িতে যখন কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তখন তাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। হয়তো লক্ষ্য করলে দেখবেন কেবল পুরুষরাই শ্মশানে যায়, কিন্তু নারীদের শ্মশানে যেতে দেওয়া হয় না। যদিও এখন এই ছবিটা বদলেছে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। এবার জেনে নেওয়া যাক, কেন মহিলাদের শ্মশানে যেতে নিষেধ করা হয়।

১) মৃতদেহকে যখন শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ঘর পরিষ্কার করাটা একটা বড় কাজ। কেননা মৃতদেহ থেকে জীবাণু সংক্রমে ভয় থাকে তাই ভালোভাবে ঘর-দোর পরিষ্কার করতে হয়। এরপর শ্মশান যাত্রীরা ফিরলে তাদের লোহা-আগুন-নিমপাতা এগিয়ে দিতে হয়। এসব কাজের জন্য বাড়িতে কারও থাকা দরকার।

Image

২) বলাই বাহুল্য যে শ্মশান প্রক্রিয়া খুবই ভীতকর। এ সময় মৃতদেহকে আগুনে পোড়ানো হয়। অনেক সময় মৃতদেহকে বাঁশের আঘাতে টুকরো করে দিতে হয়। এই দৃশ্য খুবই ভয়ংকর। মহিলারা নরম প্রকৃতির হয়, তাই এমন ভয়াবহতা দেখে যদি তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেই কারণেই তাদের শ্মশানে যেতে নিষেধ করা হয়। 

৩) শাস্ত্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, শ্মশানে অশুভ আত্মার বাস থাকে এবং এই অশুভ শক্তি বা নেগেটিভ এনার্জি লম্বা কালো চুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে শ্মশানে সমস্ত মানুষ মোক্ষ পায় না। তাদের কিছু আত্মা সেখানে ঘুরে বেড়াই এবং তারা মহিলাদের লক্ষ্য করে।

Image

৪) হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে সমস্ত শ্মশান যাত্রীদের মস্তক মুণ্ডন করতে হবে। মস্তক মুণ্ডন করা মৃত ব্যক্তির প্রতি শেষ সম্মানজ্ঞাপন বলে ধরা হয়। পুরুষরা যখন দাহ শেষ করে তখন তাদের চুল নিবেদন করে, কিন্তু মহিলারা চুল দিতে পারে না। সম্ভবত এই কারণেই মহিলাদের শ্মশানে যেতে নিষেধ করা হয়।

Image

৫) সামাজিক প্রথা অনুযায়ী, জীবিত হোক বা মৃত কাওকে বিদায় দিতে হয় হাসিমুখে। কিন্তু নারীদের প্রিয়জনের মৃত্যুতে তাদের চোখের জল বাধা মানে না। শেষ যাত্রার সময় কেউ কান্নাকাটি করলে আত্মা বিচলিত হয়। তখন আর তার পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া হয় না, মায়ায় আবদ্ধ হয়ে পৃথিবীতেই থেকে যায় এবং সে মুক্তি না পাওয়ার কষ্টে জীবিতদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এমনটা যাতে না হয়, তাই নারীদের শ্মশানে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে।