জানেন ইজরায়েলি সেনারা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতের কোন শহরে আসে?

ভারতের কোন শহরে ইজরায়েলি ইহুদী সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন?

এক সপ্তাহেরও বেশি পেরিয়ে গেছে, ইসরাইল (Israel) ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পুরো গাজা উপত্যকাকে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এমনকি বলা হচ্ছে, এই যুদ্ধের জন্য ইসরাইল তাদের প্রশিক্ষণ নেওয়া সেনাবাহিনীদের বিদেশ থেকে ফিরে আসার কথা বলেছে। আর এই কারণেই ভারতের একটি শহর খালি হতে শুরু করেছে।

আসলে এখানে যে শহরের কথা বলা হয়েছে, তা হল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা (Dharamshala)। এই শহরের একটি বিশেষ অংশ ধর্মকোটে ইসরায়েলিরা আসে। প্রতিবছর এখানে ইসরায়েলিদের সমাবেশ হয়। বিশেষ করে ইসরায়েলি যুবক-যুবতীরা প্রতিবছর এখানে এসে বেশ কিছু সময় কাটায়। এছাড়া, এখানে একটি খাবাদ হাউস (Khabad House) রয়েছে, যেখানে ইসরায়েলিরা তাদের ঈশ্বরকে স্মরণ করে।

Image

ইজরায়েলের প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক, সে ছেলে হোক বা মেয়ে। এই সেনা প্রশিক্ষণ শেষ করার পর অনেক যুবক-যুবতী হিমাচল প্রদেশের এই ছোট্ট জায়গায় আসে এবং বেশ কিছুদিন তাদের শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেয়। কিন্তু এবার হামাসের হামলায় তাদের বিশ্রাম ব্যাহত হয় এবং তাদের দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে।

Image

এছাড়া হিমাচল প্রদেশের একটি কাসোল (Kasol) নামক গ্রাম আছে যেখানে ইসরায়েলি যুবক যুবতীদের দেখা যায়। তারা দীর্ঘ প্রশিক্ষণের ক্লান্তি কাটাতে শান্তির খোঁজে এখানে আসে। এই পরিবেশ তাদের কাছে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। অনেক সময় তারা খোলাখুলি ভাবে মেলামেশা করে বলে ভারতীয় পর্যটকদের সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Image

এর পাশাপাশি ভারতে আগত ইসরায়েলিরা দিল্লির পাহাড়গঞ্জ, রাজস্থানের আজমিরে যান। প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েলি জনগণের ধর্মীয় স্থান অর্থাৎ খাবাদ হাউস এই দুটি স্থানে রয়েছে। এখানে ইসরায়েলি গিয়ে প্রার্থনা করে। অবাক হবেন ইহুদিদের এই ধর্মীয় স্থানটির প্রায় প্রতিটি দেশেই রয়েছে। এখানে সবসময়ই ইহুদিরা কমবেশি বাস করে।