আপনি যদি এখন সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করতে চান তাহলে সরকার এর জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। বিআইএস কেয়ার অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা ছাড়াও, এর সম্পর্কিত যে কোনও অভিযোগ জানাতে পারবেন।
হলমার্ক দেখেই সোনার গহনা কেন উচিত। হলমার্ক হল সোনার সরকারি গ্যারান্টি এবং ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) হলো একমাত্র ভারতীয় সংস্থার যে হলমার্ক নির্ধারণ করে। হলমার্কিন স্কিম ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম ও প্রবিধান অনুযায়ী কাজ করে।
সোনার বিশুদ্ধতা শনাক্ত করার জন্য ISO দ্বারা হলমার্ক দেওয়া হয়। ২৪ ক্যারাট ৯৯৯, ২৩ ক্যারেট ৯৫৮, ২২ ক্যারেট ৯১৬, ২১ ক্যারেট ৮৭৫ এবং ১৮ ক্যারেট ৭৫০। বেশিরভাগ সোনায় ২২ ক্যারেটে বিক্রি হয়। আবার কেউ কেউ ১৮ ক্যারেটও ব্যবহার করেন। সোনা ২৪ ক্যারেটের বেশি হয় না। ক্যারেট যত বেশি হয়, সোনা তত খাঁটি হয়।
১০০ শতাংশ খাঁটি সোনা হল ২৪ ক্যারেট সোনা, কারণ এতে অন্যান্য ধাতুর কোনো চিহ্ন নেই। বাজারে এটি ৯৯.৯ শতাংশ বিশুদ্ধ বলে জানা গেছে এবং এর একটি স্বতন্ত্র উজ্জ্বল হলুদ রঙ রয়েছে। যেহেতু এটি সোনার সবচেয়ে বিশুদ্ধতম রূপ, তাই এটি স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্যগুলির তুলনায় ব্যয়বহুল।
২২ ক্যারেট সোনা সাধারণত গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এতে সোনা ছাড়াও কিছু ধাতু রয়েছে যা ধাতুটিকে টেকসই করে তোলে। ২২ ক্যারেট স্বর্ণে ৯১.৬৭ শতাংশ খাঁটি সোনা। অবশিষ্ট ৮.৩৩ শতাংশ রূপা, দস্তা, নিকেল বা অন্যান্য সংকর ধাতু দ্বারা গঠিত। ২৪ ক্যারেট সোনা খাঁটি হলেও এর অলঙ্কার তৈরি করা যায় না। তাই অধিকাংশ দোকানদার ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি করেন।