মৃত্যুর পরবর্তীকালে কি হয় এটা নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। আদৌ কি আত্মা বলে কিছু আছে? যদি আত্মা থেকেও থাকে তাহলে মৃত্যুর পরে কোথায় যায়? কিভাবে থাকে? এরকম নানাবিধ প্রশ্ন আমাদের মনে সব সময় ঘোরাফেরা করে।
এইসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অনেকেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। অনেক সময় শোনা যায় যে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য প্লানচেটের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিকে ডেকে আনে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এর কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
বহুকাল ধরে মৃত্যু নিয়ে শাস্ত্র ও বিজ্ঞান এর মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছে। মৃত্যু সাধারণত দু’ধরনের একটি স্বাভাবিক মৃত্যু এবং অন্যটি অস্বাভাবিক বা অপঘাতে মৃত্যু। শাস্ত্রে বলা হয়, যে ব্যক্তির যতদিন পর্যন্ত আয়ু থাকে তাকে ততদিন পর্যন্ত তাকে বেঁচে থাকতে হয়।
কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের আগেই আত্মহত্যা করে তাহলে তার মৃত্যু হয় না। তার শরীর চলে গেলেও তাঁর আত্মাকে শরীরের আশেপাশেই থাকতে হয়। তার নিজের ইচ্ছায় শরীর ছেড়ে চলে যেতে পারলেও তার আত্মা তা পারে না।
শাস্ত্রে আরো বলা হয়েছে, মানুষ প্রত্যেকদিন স্বপ্ন দেখে। এর ফলে তার জীবনে কোনো না কোনো চাহিদা থাকে। আর এই চাহিদাগুলি মনে চেপে রেখে কোন ব্যক্তি যখন আত্মহত্যা করে তখন তার চাহিদাগুলো অপূর্ণ থেকে যায়।
এছাড়া আত্মহত্যাকে পাপ হিসেবে ধরা হয়। আর সেই পাপ কাজের শাস্তি হিসেবে ওই ব্যক্তির যতদিন পর্যন্ত নির্ধারিত আয়ু ছিল ঠিক ততদিন তাকে ইহলোকেই থাকতে হয়। যে কষ্টের কারণে সে আত্মহত্যা করেছিল তার থেকেও অনেক বেশি কষ্ট তখন তাকে পেতে হয়।
যে ব্যাক্তি আত্মঘাতী হয় সে মনে করে যে মৃত্যুর পরে তাঁর সব দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনার মুক্তি ঘটবে। কিন্তু শাস্ত্রে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মুক্তি খুব সহজেই পাওয়া যায় কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে তাকে অনেক কষ্ট যন্ত্রণা মৃত্যুর পরেও সহ্য করতে হয়।