কখনও ভেবে দেখেছেন যদি চলন্ত ট্রেনের চালক ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে কি হবে

আপনি হয়তো বেশ কয়েকবার ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন, কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন যদি চলন্ত ট্রেনে চালক ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে কি হতে পারে? ভারতবর্ষের প্রায় ৭০ হাজার কিলোমিটার রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে, এর ফলে মাঝেমধ্যেই রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় রেল খুবই সুরক্ষিত ভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করে।

রেল দুর্ঘটনা কখনো কখনো প্রযুক্তিগত কারণে বা অনেক সময় ট্রেন চালকের ঘুমিয়ে পড়া নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু সত্যি কি তাই যে লোকো পাইলট ঘুমিয়ে পড়লে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে? 

মানুষের ধারণা ট্রেনের চালক ঘুমিয়ে পড়লে তাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হবে। কিন্তু এটা সত্য নয়। প্রতিটি ট্রেনে দুজন করে লোকো পাইলট থাকেন একজন ঘুমিয়ে পড়লে অন্যজন যেকোনো ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম হন।

তবে এই ক্ষেত্রে যদি দুজন চালক ঘুমিয়ে পড়েন তবুও কোন ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটবে না। আসলে এই ধরনের পরিস্থিতির এড়ানোর জন্য প্রতিটি রেল ইঞ্জিনে একটি শক্তিশালী টেকনোলজি লাগানো আছে, যা ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করবে।

Image

আসলে ট্রেন চলাকালীন পাইলটদের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ জারি রাখতে হয়। যেমন হর্ন দেওয়া, ব্রেক ধরা, গতি বাড়ানো কমানো ইত্যাদি বার্তাগুলি ইঞ্জিনের কাছে পৌঁছায় যে রেলচালক সক্রিয় রয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে লোকো পাইলটকে মাঝে মধ্যেই ‘ডেড ম্যান্স’ নামক একটি সুইচ টিপতে হয়। এটি এমন একটি ডিভাইস যা ইঙ্গিনকে সংকেত প্রেরণ করে, যে ড্রাইভার সক্রিয় রয়েছেন। ড্রাইভার যদি প্রতি দু-তিন মিনিট অন্তর এর মধ্যে এই ডিভাইসটি না চাপেন, তাহলে ইঞ্জিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের গতিকে হ্রাস করবে এবং অল্প দূরত্বে যাওয়ার পরেই ট্রেনটি থেমে যাবে।