বাতিল হওয়া নোটগুলি কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়? জানলে অবাক হয়ে যাবেন

সম্প্রতি বাতিল হয়েছে ২০০০ টাকার নোট, সেগুলি দিয়ে কী করা হবে জানেন?

Indian Notes: ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম ভারতে ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৮ নভেম্বর ২০১৬ তে ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেয় এবং ১০ নভেম্বর ২০১৬ থেকে নতুন ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে। কিন্তু ফের এই নোটও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই (RBI)।

তবে এখনও বাজারে ২০০০ টাকার নোট আপাতত চালু রয়েছে। আরবিআই সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে অবিলম্বে ২০০০ টাকার নোট দেওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। আরবিআই জানিয়েছে যে এই নোটগুলি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। অর্থাৎ যাদের কাছে ২০০০ টাকার নোট আছে, তাদের ব্যাঙ্ক থেকে বদলাতে হবে।

Image

তবে এখন প্রশ্ন হল, এই বিপুল পরিমাণ বাতিল হওয়া নোটগুলি দিয়ে কী কী করা হয়? সমস্ত বাতিল হওয়া নোট আরবিআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে নোটগুলোকে নষ্ট করতে প্রথমে একটি বিশেষ মেশিনের দ্বারা ছোট ছোট টুকরো টুকরো করা হয়।

সারাদেশে ১৯টি অফিসে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২৭টি নোট ক্লিপিং মেশিন রয়েছে। নোটগুলি নষ্ট করতে এই মেশিনগুলি কেবল নোটগুলিকে ছোট ছোট টুকরো করে কাটে। এরপর এই টুকরোগুলিকে সংকুচিত করে শক্ত কার্ডবোর্ডে রূপান্তরিত হয়।

Image

এবার এই কার্ডবোর্ডের টুকরো গুলিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হয়। যেমন- বিভিন্ন ফাইল, ক্যালেন্ডার এবং কাগজে এই শক্ত কার্ডবোর্ড ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পেনের বাক্স, চায়ের কোস্টার কাপ ও ছোট ট্রে তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয় এই শক্ত কার্ডবোর্ডটি শিল্পের চুল্লিতেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এও জেনে অবাক হবেন সিমেন্ট শিল্পে অতিরিক্ত জ্বালানি হিসেবে শক্ত কার্ডবোর্ড ব্যবহার করা হয়। এমনকি নষ্ট হয়ে যাওয়া নোটগুলো সার তৈরি করতেও ব্যবহার করা হয়। ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড ২০০০ সালের শুরু থেকে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে।