পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র… কখনো ভেবেছেন এই রাজ্যগুলির নাম কীভাবে হল

জানেন ভারতের রাজ্যগুলির নাম কীভাবে হয়েছে

Name of State of India: ভারতবর্ষের ২৯টি রাজ্যে বহু সংস্কৃতি ও ধর্মের মানুষ বাস করেন। এই প্রতিবেদনে এমনই কয়েকটি রাজ্যের কথা বলা হয়েছে যাদের নামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে একটি করে গল্প। এবার পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্যগুলির নাম কীভাবে রাখা হলো তা জেনে নেওয়া যাক।

উত্তরাখণ্ড : ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যটি ‘দেবতার দেশ’ হিসেবে পরিচিত। শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এই রাজ্যটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। উত্তরাঞ্চল মানে ‘উত্তর-পর্বত’ এবং ‘বৃত্ত পর্বত’। এই নাম পরবর্তীতে ‘উত্তরাখণ্ড’তে পরিবর্তন করা হয়, যার অর্থ উত্তরভূমি।

মধ্যপ্রদেশ : মধ্যপ্রদেশ নামটি কীভাবে হলো তার পিছনের গল্পটি আকর্ষণীয়। ‘মধ্য’ এর মধ্যম, আর প্রদেশের অর্থ প্রদেশ। সুতরাং মধ্যপ্রদেশের বাংলায় অর্থ ‘মধ্য ভারতীয় প্রদেশ’।

অন্ধ্রপ্রদেশ : অন্ধ্রপ্রদেশ ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী রাজ্য। এই নামটি সংস্কৃত শব্দ ‘অন্ধ্র’ থেকে এসেছে যার অর্থ দক্ষিণ। এই অঞ্চলে উপজাতিরা বসতি স্থাপন করে এবং তারাও অন্ধ্র নামে পরিচিত।

মহারাষ্ট্র : এটি ভারতের অন্যতম প্রধান রাজ্য এবং এর নামটি সংস্কৃত ‘মহা’ এর অর্থ মহান এবং ‘রাষ্ট্র’ এর অর্থ জাতি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। একটি তথ্য অনুসারে, এটি রাষ্ট্রিকা নামক একটি গোষ্ঠীর থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।

কেরালা : কেরালা রাজ্যটির নামকরণ হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। কেরালা নামটি এসেছে ‘কেরা’ শব্দ থেকে যার অর্থ নারকেল গাছ, যা এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, প্রাচীন শাসক কেরালাম এর নাম অনুসারে হয়েছে।

হরিয়ানা : হরিয়ানা নামটি ‘হরি’ এবং ‘আনা’ এই দুটি শব্দের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে। হরি মানে বিষ্ণু বা ভগবান কৃষ্ণের অবতার আর আনা মানে হল আসা। কথিত আছে, মহাভারতের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই অঞ্চলে এসেছিলেন এবং সেই কারণে এটির নাম হরিয়ানা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ : সংস্কৃত শব্দ ‘বঙ্গ’ থেকে পশ্চিমবঙ্গের নাম এসেছে। এই রাজ্যটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগ হলে এর নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ, আবার ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হলে এর নামকরণ হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ’।