২০২০ সত্যিই কি অভিশপ্ত একটা বছর? একের পর এক বিপর্যয় দেখা দিতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই আমফান যে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা এখনও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলা। তার উপর করোনাভাইরাস চারিদিকে থাবা বসিয়েছে।
ঠিক এমন আবহে আবারও এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে। প্রকৃতি ঠিক যেন আপন খেয়ালে মেতে উঠেছে। নতুন করে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে যার নাম নিসর্গ। এই ঝড় টি নাম প্রস্তাবিত করেছে বাংলাদেশ। এই ঘূর্ণবাত মুম্বাই থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৭০০ কিলোমিটার এবং সুরাট থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে সাইক্লোনের রূপ নেবে নিসর্গ।
আওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বুধবারের মধ্যেই স্থলভাগের আছড়ে পড়বে যার প্রভাব পরের দিনও থাকবে। এর ফলে মারাত্মক বেগে ঝোড়ো হওয়া এবং ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে আরব সাগরের বুক চিরে উত্তরদিকে হয়ে যাবে তারপর উত্তর-পূর্ব দিকে একটু বেঁকে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে আছড়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কয়েকটি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও যেমন গোয়া, দমন লাক্ষাদ্বীপ, কেরলও।
বুধবার সন্ধ্যার সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় এবং এইসময়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার। এর ফলে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কেরল এবং গোয়ায় ভারী ধরনের বৃষ্টিপাত হবে।
তবে আমফান না নিসর্গ কে বেশি শক্তিশালী? পশ্চিমবঙ্গকে তছনছ করে দিয়েছে আমফান, এই ঝড়ো হাওয়ার ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ১৬০ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হয়ে যাওয়ারও কথা জানা গিয়েছে। সেখানে নিসর্গের গতিবেগ (১২৫ কিলোমিটার) তার থেকে অনেকটাই কম।
তবে সে যাই হোক না কেন, আমফান এর মত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় না হলেও, ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠা নিসর্গের প্রভাবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে।