ক্রিকেট মাঠে আপনি জন্টি রোডস থেকে শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো খেলোয়াড়দের তৎপরতা দেখেছেন। তবে এমন কিছু ক্রিকেটার ছিলেন যারা অতি মন্থরগতিতে দৌড়াতেন বা কখনোই দৌড়ে দুই রান নিতেন না। তবে অলস প্রকৃতির হলেও তারা নিজস্ব খেলার মাধ্যমে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন।
বর্তমানে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের উপর প্রবল জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় দলের কথা বললে ফিল্ডিংয়ের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে তবুও এখনো অনেক উন্নতির প্রয়োজন।
আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ১০ জন অলস ক্রিকেটার; তালিকায় রয়েছেন দুই ভারতীয়; এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
ক্রিস গেইল:
বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল কখনও উইকেটের মধ্যে দৌড়াতে পছন্দ করেন না। দৌড়ে সিঙ্গেল কিংবা দুই রান নেওয়ার থেকে বলটিকে মাঠের বাইরে পাঠাতে বেশি আস্থা রাখেন। ফিল্ডিংও খুব বাজে। সম্ভবত গেইল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে অলস ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য হন।
মুনাফ প্যাটেল:
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচাইতে অলস ক্রিকেটার ছিলেন মুনাফ প্যাটেল। শুরু থেকেই মন্থরগতিতে দৌড়াতেন। এই আলসেমির কারণে বারবার বাউন্ডারি ধারে বল আটকাতে ব্যর্থও হয়েছেন।
সুনীল নারিন:
এই তালিকায় আরও এক ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় রয়েছেন সুনীল নারিন। ব্যাটিং এর সময় তার ৯০% রান আসে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। এমনকি উইকেট নেওয়ার পর তাকে খুব একটা উত্তেজিত হতে দেখা যায় না।
শেন ওয়ার্ন:
বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নও তার অলসতার পরিচয় দিয়েছিলেন। উইকেট এর মধ্যে হোক কিংবা ফিল্ডিংয়ের জন্য তিনি কখনোই দৌড়াতে পছন্দ করতেন না। তার সময়ে সেরা বোলার ছিলেন বলে তার ফিল্ডিং নিয়ে কেউ কখনো অভিযোগ তোলেন নি।
সরফরাজ আহমেদ:
পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদও এই তালিকায় রয়েছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় তার লম্বা হাঁই তোলা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় কৌতুকের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও মন্থর গতিতে দৌড়ানোর কারণে তার ভুলে অনেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান রান আউটও হয়েছেন।
অর্জুন রানাতুঙ্গা:
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রানাতুঙ্গাও মাঠে অলস খেলোয়াড়দের মধ্যে গণ্য হন। খুবই মন্থর গতিতে দৌড়াতেন বলে প্রায়শই শ্রীলঙ্কার অন্যান্য খেলোয়াড়রা তাকে নিয়ে মজা করত।
ইনজামাম-উল-হক:
বিশ্বের অন্যতম অলস ফিল্ডার হিসেবে গণ্য হন ইনজামাম-উল-হক। মন্থর গতিতে দৌড়ানোর জন্য তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ৪০ বার রান আউট হয়েছেন। এমনকি ফিল্ডিংয়ের সময় বলটিকে দৌড়ে ধরার জন্য অন্যদের ইশারা করতেন।
মোহাম্মদ শাহজাদ:
আফগানিস্তানের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ, অলস প্রকৃতির হওয়ার জন্য বারবার খবরের শিরোনামে থেকেছেন। তবে ব্যাট হাতে একেবারেই উল্টো, খুবই দ্রুত গতিতে রান সংগ্রহ করতে পারেন।
মোহাম্মদ ইরফান:
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইরফান, তার দীর্ঘ চেহারার জন্য তার গতি কিছুটা মন্থর ছিল। তিনি বাউন্ডারি ধারে বেশিভাগ বল আটকাবার সময় পা ব্যবহার করতেন। পাকিস্তানকে এর ফল ভোগ করতে হয়েছে বহুবার।
ইউসুফ পাঠান:
ইউসুফ পাঠান আক্রমনাত্মক ব্যাটিং স্টাইল বিখ্যাত হন কিন্তু দৌড়ানোর গতি খুবই মন্থর। ব্যাটিংয়ের সময় বড় বড় শট খেলে রানের ঘাটতি পূরণ করতেন, তবে ফিল্ডিং অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল।