India’s Most Educated Cricketer: অধিকাংশ খেলোয়াড়কেই খেলার কারণে মাঝপথেই পড়াশোনায় ইতি টানতে হয়। যদিও খেলোয়াড়দের শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে তার দক্ষতার পরিমাপ করা হয় না। তবে ব্যতিক্রমী কিছু ভারতীয় খেলোয়াড় রয়েছেন যারা ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অনেক দূর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করেছেন। এবার তেমনই এক ভারতীয় খেলোয়াড়ের সম্পর্কে জানা গেছে, যিনি খেলোয়াড় না হলে অনায়াসে বড় বড় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে চাকরি পেতেন।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় থেকে শুরু করে ভিভিএস লক্ষণ, জাভাগাল শ্রীনাথ, অনিল কুম্বলের মত খেলোয়াড়দের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক বেশি, কিন্তু তারপরেও খেলায় অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তেমনই এক ভারতীয় খেলোয়াড়ের পরিচয় পাওয়া গেছে যিনি শিক্ষগত যোগ্যতার দিক দিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা কিংবা ভারতের ইসরো-র মত বড় সংস্থায় যুক্ত হতে পারতেন। তিনি আর কেউ নন, ভারতীয় মিডিয়াম ফাস্ট বোলার আবিষ্কার সালভি।
আবিষ্কার সালভির শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বললে, তিনি অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে পিএইচডি (জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান) করেছেন। এমনই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসংখ্য মানুষ নাসা বা ইসরো-র মত সংস্থায় চাকরি করছেন। কিন্তু সালভি গবেষণাগারের গণ্ডি ছাড়িয়ে ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছিলেন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে আবিষ্কার সালভি তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন।
মুম্বাইয়ের হয়ে দীর্ঘদিন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেললেও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশিদিন তাকে দেখা যায়নি। ভারতের জার্সি গায়ে মাত্র ৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন এবং তার ঝুলিতে রয়েছে ৪টি উইকেটও। জানা যায়, গুরুতর চোটের কারণেই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। এছাড়াও তাকে আইপিএলে দিল্লির হয়ে কয়েকটি ম্যাচে খেলতে দেখা গেছে।
আবিষ্কার সালভির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ক্রিকেট মাঠে বহুবার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। তিনি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন ভারতীয় খেলোয়াড় অনেক বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত, ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় এমবিএ করেছেন, ভিভিএস লক্ষণ এমবিবিএস করা ছেড়ে ক্রিকেটকেই তার পেশা হিসেবে বেছে নেন। হয়তো এই কিংবদন্তিদের পথ অনুসরণ করেছিলেন আবিষ্কার সালভিও।
