Indian Railways: ভারতীয় সীমান্ত অনেক দেশের সীমান্তের সাথে মিলিত হয়েছে। যদিও এই দেশগুলো একসময় অখণ্ড ভারতের অংশ ছিল। ভারত আজ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। আপনি কি জানেন যে কয়েকটি দেশে ট্রেনে করে যেতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে সেই সমস্ত স্টেশনের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত থাকায় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও যাওয়া যায়।
সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশন: সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় অবস্থিত। পুরনো মালদা স্টেশন থেকে সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মাত্র একটি ট্রেন চলে। দুই অঞ্চলের মধ্যে পণ্য রপ্তানি ও আমদানিতে এই রেলস্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটিকে দেশের শেষ রেলস্টেশনও বলা হয়। সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশন রহনপুর স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত।
পেট্রাপোল রেলওয়ে স্টেশন: এই রেলস্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানির রপ্তানিতে এই স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলকাতা থেকে বাংলাদেশে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে বন্ধন এক্সপ্রেস ধরতে হবে এবং যা বাংলাদেশে পৌঁছানোর আগে এই ট্রেনটি পেট্রাপোল রেলওয়ে স্টেশনে থামে।
হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন: হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই স্টেশনটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবেও কাজ করে। এই স্টেশনটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত। হলদিপুর চিলহাটি রেলরুটটি ২০২০ সালের শেষ দিকে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি জংশন থেকে শুরু হয় যার ঢাকায় পৌঁছানোর আগে হলদিবাড়িতে রেলওয়ে স্টেশনে থামে।
জয়নগর রেলওয়ে স্টেশন: বিহারের মধুবনী জেলার এই স্টেশনটি ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত, যা নেপাল থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। এই স্টেশনের মাধ্যমে নেপালকে যুক্ত করা হয়েছে। এই রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে একটি আন্ত:ভারত নেপাল সীমান্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। তবে এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন লাগে না। একইভাবে এর আগে পাকিস্তানেও ট্রেনে করে যাওয়া যেত, কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।