ক্রিকেট একটি অনিশ্চয়তার খেলা, ঠিক তেমনই কয়েকজন ক্রিকেটারের জীবনে কোনো নিশ্চয়তা ছিলনা। বর্তমানে ক্রিকেটাররা প্রচুর সম্মান সহ অর্থ উপার্জন করে ভবিষ্যতের পথ সুগম করেন। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা ধীরে ধীরে প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে।
আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, একসময়ের বিখ্যাত পাঁচ ক্রিকেটার, যারা পুরোপুরিভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছেন; এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) আরশাদ খান: ট্যাক্সি ড্রাইভার
পাকিস্তানের অন্যতম সেরা স্পিন বোলার আরশাদ খান ৯ টি টেস্ট ও ৫৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তার পরিবার অস্ট্রেলিয়া চলে গেলে তার পক্ষে পরিবারের দায়ভার বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এখন তাকে সিডনির রাস্তায় মাঝেমধ্যে ট্যাক্সি চালাতে দেখা যায়।
২) সুরজ রান্ডিভ: বাস চালক
২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলংকার হয়ে অভিষেক করেছিলেন সুরজ রান্ডিভ। আর ক্রিকেট বিশ্বে এমনটা প্রথমবার হয়েছিল যখন কোন খেলোয়াড় একেবারে ফাইনাল ম্যাচে অভিষেক করেন। কিন্তু তার ধারাবাহিকতার অভাবে বেশিদিন টিকতে পারেননি দলে। সম্প্রতি এই খবরটি এসেছে, বিশ্বকাপ খেলা সুরজ রান্ডিভ এখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাস চালক হিসেবে কাজ করছেন।
৩) ম্যাথিউ সিনক্লেয়ার: রিয়েল স্টেট সংস্থা
নিউজিল্যান্ড এর প্রাক্তন ওপেনার ম্যাথু সিনক্লেয়ার অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ছিলেন। এরপর বেশ কয়েক বছর খেলার পর অবসর নিয়ে নেন। কিন্তু পরিবারের দায়ভার বহন করতে গিয়ে প্রবল সমস্যার মুখোমুখি হন তিনি। বর্তমানে তিনি খুবই সামান্য বেতনে একটি রিয়েল স্টেট সংস্থা্র হয়ে কাজ করছেন।
৪) ক্রিস কেয়ার্নস: সাফাই কর্মী
একসময় কোকড়ানো চুলের কিউই অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস সকল নারীর হৃদয় জয় করেছিলেন। তিনি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রচুর সাফল্য অর্জন করেছেন। কিন্তু তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার এক নিমেষে শেষ হয়ে যায় গড়াপেটায় অভিযুক্ত হয়ে। দীর্ঘদিন ধরে মামলার খরচ বহন করতে করতে তিনি প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান। বর্তমানে তিনি নিউজিল্যান্ডের একটি বাসস্ট্যান্ডে সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
৫) জনার্দন নাভেল: পাহারাদার
দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই-রও একজন খেলোয়ার এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ১৯৩২ সালে শুরু হওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে উইকেট-রক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন জনার্দন নাভেল। এই সময়ে খেলোয়াড়রা তেমন বেতন পেতেন না। কিন্তু তার ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার পর প্রবল আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হন। শেষ পর্যন্ত তিনি পুনের একটি চিনিকলে প্রহরী হিসেবে কাজ শুরু করেন।