আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুত হাফসেঞ্চুরি করেছেন এই ৫ ব্যাটসম্যান; প্যাট কামিন্স ১৪ বলে

আইপিএলের ১৫তম আসরে মাঠে নেমেই তান্ডব চালিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স। আইপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করার রেকর্ড করেছেন তিনি। এদিন কেকেআরের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দ্রুত ফিরে গেলে শেষের দিকের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এবং ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন প্যাট কামিন্স। এই ঝড়ো ইনিংসটিকে আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংস বলে বিবেচিত করা হচ্ছে। এবার দেখে নেওয়া যাক আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন যারা:

১) কেএল রাহুল: ১৪ বল

আইপিএলের ইতিহাসে এতদিন দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল কেএল রাহুলের দখলে। ২০১৮ সালে দিল্লি ক্যাপিটালস বিপক্ষে তিনি পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪ বলের মুখোমুখি হয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৪টি ছক্কা ও ৬টি বাউন্ডারি। কেএল রাহুল ৩১৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৫১ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন।

২) প্যাট কামিন্স: ১৪ বল

আইপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করার তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন কেকেআরের অলরাউন্ডার প্যাট কামিন্স। এদিন তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং লাইনআপকে ছারখার করে মাত্র ১৫ বলে ৩৭৩ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৫৬ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৬টি ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারি।

৩) ইউসুফ পাঠান: ১৫ বল

২০১৪ সালে ভারতীয় অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান কেকেআরের হয়ে খেলার সময় মাত্র ১৫ বলে আইপিএলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করেছিলেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ইউসুফ পাঠান সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে ৩২৭ স্ট্রাইক রেটে ৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৭টি ছক্কা ও ৫টি বাউন্ডারি।

৪) সুনীল নারিন: ১৫ বলে

আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করার তালিকায় সুনীল নারিনও রয়েছেন। ২০১৭ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। সুনীল নারিন ৩১৭ স্ট্রাইক রেটে ৫৪ রান করেন ও তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৪টি ছক্কা ও ৬টি বাউন্ডারি।

৫) সুরেশ রায়না: ১৬ বলে

২০১৪ আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সুরেশ রায়না কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেছিলেন, যা আইপিএলের ইতিহাসে সেরা ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ম্যাচে তিনি মাত্র ২৫ বলে ৩৪৮ স্ট্রাইক রেটে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৬টি ছক্কা ও ১২টি বাউন্ডারি। যদিও ম্যাচটি সিএসকে দল হেরে ওই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়।