পাকিস্থানের নাম শুনলে আমাদের যে কারোরই ক্রোধে ভুরু কুঁচকে ওঠে। কিন্তু জেনে অবাক হবেন আমাদের ভারতবর্ষেই রয়েছে পাকিস্তান নামে একটি গ্রাম। তবে এই গ্রামে একজনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নেই। এখানে সকলেই হিন্দু।
এই গ্রামের মানুষেরা অন্য কোন জায়গায় গিয়ে নিজেদের পরিচয় পর্যন্ত দিতে লজ্জা পায়। তাই তারা নিজেদের গ্রামের নাম নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নয়। এখন সরকারের অনুমতি নিয়ে নিজেদের গ্রামের নাম পরিবর্তন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
খবর সূত্রে জানা গেছে, বিহারের পূর্ণিয়া জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শ্রীনগর ব্লকের সিন্ধিয়া পঞ্চায়েতে একটি টোলা আছে যার নাম পাকিস্তান। এই গ্রামের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২০০ জন।
এই গ্রামটিতে সাঁওতাল আদিবাসীদের বসতি, যারা হিন্দু ধর্মের অন্তর্গত। এটি শহুরে এলাকা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। অর্থাৎ এখানে কোনও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার মানুষেরা ঠিকমতো হিন্দিও বলতে পারে না ও সবাই দিনমজুর করে জীবিকা অর্জন করে।
এই গ্রামে তেমন কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা নেই। পাকিস্তান গ্রামটি থেকে শ্রীনগর ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার আর এখানকার ছেলেমেয়েরা ২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যায়।
এই গ্রামটির নাম কিভাবে পাকিস্তান হয়েছে সেই সম্পর্কে কারও কাছে কোন উত্তর নেই। কেউ কেউ দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সময় এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই জায়গা ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যায়। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই গ্রামের নামকরণ করা হয়েছিল ‘পাকিস্তান’।