Indian Railway: ভারতীয় রেলওয়ে বিশ্বের চতুর্থ এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও সীমাবদ্ধ রয়েছে ভারতীয় রেল, যা ৬৭,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এর মাধ্যমে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়। দেশের যে কোন প্রান্তে ভারতীয় রেলের মাধ্যমে পৌঁছাতে পারেন। তবে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতবর্ষে এমন তিনটি ট্রেন রয়েছে যা সরাসরি বিদেশে যায়।
১) সমঝোতা এক্সপ্রেস (Samjhota Express): ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তির স্বাক্ষরের পর ১৯৭৬ সালে সমঝোতা এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল। প্রথমদিকে ট্রেনটি ভারতের অমৃতসর থেকে পাকিস্তানের লাহোর পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার চলত। এরপর ২০০০ সালে ভারতীয় রেল সিদ্ধান্ত নেয় যে, দিল্লি থেকে আটারি পর্যন্ত একটি ট্রেন চালাবে এবং সমস্ত যাত্রী কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনের জন্য নামবে।
এরপর আটারিতে তারা ট্রেন পরিবর্তন করবে এবং সমঝোতা এক্সপ্রেস ধরবে, যা তাদের ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তে মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে নিয়ে যাবে। তবে এরজন্য যাত্রীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং একটি বৈধ ভিসা অবশ্যই থাকতে হবে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের কারণে সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে গেছে।
২) মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitree Express): ২০০৮ সালে শুরু হওয়া মৈত্রী এক্সপ্রেস হল একমাত্র ট্রেন যা বৃহস্পতিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে চলাচল করে। এই ট্রেন বাংলাদেশের ঢাকা থেকে কলকাতার সাথে সংযোগকারী প্রথম সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এই অঞ্চলে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল, কিন্তু দুই দেশের সংস্কৃতির বন্ধন কখনও ছিন্ন হয়নি।
৩) বন্ধন এক্সপ্রেস (Bandhan Express): ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী আরেকটি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ট্রেন হল বন্ধন এক্সপ্রেস। এই ট্রেন কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনা শহরে যাত্রা করে। ২০১৭ সালের শেষ দিকে শুরু হয়েছিল বন্ধন এক্সপ্রেস। তবে উদ্বোধনের পর থেকে ট্রেনটি শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার চলত। এরপর ২০২০ সালে ট্রেনটি সপ্তাহে দুইবার (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।