বীরেন্দ্র শেহবাগ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন অনেকেই ভেবেছিলেন ভারতীয় দলের পরবর্তী শচীন টেন্ডুলকার হতে চলেছেন। কারণ তাদের ব্যাটিং স্টাইল অনেকটা একইরকম ছিল এবং অফসাইডে খেলা তাদের পছন্দের ছিল। এছাড়াও স্পিনারদের বিরূদ্ধে আক্রমণ করতেন।
বহুদিন আগেই দুই ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে তাদের ব্যাটিংয়ের ছাপ রেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। তবে দুজনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের কয়েকটি দিক দিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে হুবহু মিল রয়েছে, এবার সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক:-
১) ওয়ানডেতে একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি:
২০১০ সালে শচীন টেন্ডুলকার (২০০*) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। একইভাবে তার পরের বছরই বীরেন্দ্র শেহবাগ (২১৯) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন। ম্যাচ দুটিই ভারতীয় দল ১৫৩ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে এবং তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরও হয়েছিল।
২) টেস্টেও একই সংখ্যক ডাবল সেঞ্চুরি:
টেস্ট ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকার রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললেও শেহবাগ কখনো থেমে থাকেনি। সীমিত ওভারের হোক বা টেস্ট ক্রিকেট সব ফরম্যাটে তিনি একইভাবেই খেলতেন। অবসর নেওয়ার আগে দুজনেই ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ৬টি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।
৩) দুজনেরই প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি কলম্বোয়:
১৯৯৪ সালে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। এদিকে ২০০১ সালে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে শেহবাগ তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তার প্রথম সেঞ্চুরিটা এসেছিল মাত্র ৭০ বলে।
৪) প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ৬নং ব্যাটিং পজিশনে:
১৯৯০ সালে শচীন টেন্ডুলকার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন ৬নং ব্যাটিং পজিশনে। পরবর্তীকালে তার ৪ নম্বর ব্যাটিং পজিশনটা পাকপোক্ত। একইভাবে বীরেন্দ্র শেহবাগও ৬নং ব্যাটিং পজিশনে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর সৌরভ গাঙ্গুলীর নির্দেশে তিনি ওপেনিং এর দায়িত্ব পান।
৫) আইপিএলের প্রথম ম্যাচে একই সংখ্যক রান:
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মরসুমে শচীন টেন্ডুলকার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ওপেনিং করতে নেমে মাত্র ১২ করেন। একইভাবে বীরেন্দ্র শেহবাগ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে ১২ রানে আউট হন। এমনকি তারা আইপিএলের প্রথম মরসুমে অধিনায়কও হয়েছিলেন।