কোমর ও পিঠ ব্যাথা হওয়ার পিছনে যে কারণগুলি রয়েছে

সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীদের পিঠ ও কোমর ব্যথায় ভুগে বেশি দেখা যায়। তবে এই ব্যথা যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা নিরাময়ের সবচেয়ে ভালো উপায় হল শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করা তবে ব্যথানাশক ঔষধ না খাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Top Tips For Lower Back Pain Relief | Rastin's Wilson St. Pharmacy

একটানা দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করলে মেরুদণ্ডের হাড়ের ব্যথা হতে পারে। মাঝে মধ্যে কিছুটা সময় গ্যাপ রেখে কাজ করলে এই সমস্যা থেকে এড়ানো যেতে পারে। শারীরিক পরিশ্রম কিংবা শরীরচর্চার অভাবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকেই এই সমস্যায় জর্জরিত হন।

বর্তমানে ৯০% লোক কোন না কোনও দিন পিঠ ও কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। স্বল্পমেয়াদী ব্যথা কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যেতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

▪️পিঠে ও কোমরে ব্যথা কেন হয় —

▪️ একটানা দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করলে পিঠে কোমরে ব্যথা হতে পারে তাই মাঝে মধ্যে বিরতি নিয়ে একটু চলাফেরা করুন।

▪️ অধিকাংশ নারীরা গর্ভকালীন অবস্থায় থাকেন। এই সময় শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় তাই পেশী ও হাড়ের সন্ধির উপর চাপ বাড়ে এর ফলে ব্যথা অনুভব হয়।

Types of Back Pain in Pregnancy

▪️ যে সকল ব্যক্তিরা অস্টিওপরোসিস রোগে আক্রান্ত তাদের পিঠে ও কোমরে ব্যথা হতে পারে।

▪️ স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে শরীরের ব্যথা হতে পারে। ক্ষেত্রে হালকা ব্যায়াম এবং খাদ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।

▪️ আমরা যেহেতু এখন প্রযুক্তিনির্ভর তাই বিভিন্ন গ্যাজেট ও ডিভাইসের সাথেই দিন কাটছে। বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী তারা মোবাইলে এবং অফিসের যারা কাজ করছেন তারা ল্যাপটপের জন্য তারা পিঠ ও কোমরে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।

▪️ পিঠ ও কোমর ব্যথার উপশম —

সবার প্রথমে জানিয়ে রাখি ব্যথা কোন নির্দিষ্ট রোগ নয়, এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। তাই যেকোনো ধরনের ব্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। প্রথম প্রথম ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে কিছুটা দমিয়ে রাখা যায় কিন্তু পরবর্তীকালে আপনাকে অনেক বেশি বিপদে ফেলতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে ব্যথানাশক ওষুধ বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে উল্টো প্রতিক্রিয়া ফেলে। তাই ব্যাথার সঠিক কারণ জানার পূর্বে ইলেক্ট্রোথেরাপি, ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি বা আইপিএম শুরু করা উচিত। সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।