ভারতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যা মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। কিছু বিল্ডিং তাদের সৌন্দর্যের জন্য এবং কিছু তাদের ইতিহাসের কারণে মানুষের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। কিন্তু এই প্রতিবেদনে এমনই একটি কবরের সম্পর্কে বলা হয়েছে যাকে মানুষ জুতা দিয়ে লাথি মারে।
আপনি হয়তো ভাবছেন একজন মানুষ এত নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে? মৃত ব্যক্তির কবরে জুতা ও চপ্পল দিয়ে স্পর্শ করা হয় কেন? তাই বলে রাখি যে, আসলে যার কবর সে জীবনে চরম পাপ ও ঘৃণ্য কাজ করেছিল। এখানে যে কবরের কথা বলা হয়েছে তা পাঞ্জাবের মুক্তসারে।
এই কবরে মুঘল নুরদিনের লাশ দাফন করা হয়। কথিত আছে এই মুঘল শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে গুরু সাহেব তাকে হত্যা করেন। এই স্থানেই গুরু সাহেব নুরদিনকে কবর দিয়েছিলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ এই অপরাধের জন্য নুরদিনকে শাস্তি দেয়।
নুরদিন ছিলেন একজন গুপ্তচর যিনি মুঘলদের হয়ে কাজ করতেন। মুঘলদের নির্দেশে নুরদিন ছদ্মবেশে শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জির সাথে থাকতে শুরু করেন। তিনি গুরু সাহেবকে আক্রমণ করার সুযোগ খুঁজছিলেন। কিন্তু তার পরিকল্পনা কাজ করেনি।
একদিন সকালে গুরু সাহেব যখন দাঁত ব্রাশ করছিলেন, তখন নুরদিন তাকে পেছন থেকে আক্রমণ করে। কিন্তু গুরু সাহেব খুব দ্রুত আক্রমণ থামিয়ে নুরদিনকে হত্যা করেন। গুরু সাহেব মুক্তসারেই নুরদিনকে কবর দিয়েছিলেন। সেই থেকে আজ অবধি শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা, বিশেষ করে মাঘির ঐতিহাসিক মেলায় আগত মানুষরা এই কবরে জুতা দিয়ে মারেন।