বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাঁটলে এমন কয়েকজন দ্রুতগতির ফাস্ট বোলার ছিলেন যাদের মুখোমুখি হওয়া ব্যাটসম্যানদের অত সহজ ছিল না। দেখা গেছে ওই দ্রুতগতির বোলারদের মোকাবিলা করতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা বারবার শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
যেহেতু ক্রিকেট একটি পরিসংখ্যানের খেলা, তাই বলের গতিবেগকেও একটি বিশেষ রেকর্ড হিসেবে ধরা হয়। আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির পাঁচ বোলার, যারা বিদ্যুতের গতিতে বল ছুড়তেন; এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
৫) মিচেল স্টার্ক:
বিশ্বের দ্রুতগতির বোলারদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি দুরন্ত পারফরম্যান্স করে দলকে (অস্ট্রেলিয়া) চ্যাম্পিয়ন করেন এবং ওই টুর্নামেন্টে ২২টি উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রস টেইলরকে প্রতি ঘন্টায় ১৬০.৪ কিমি গতিতে বল করেন।
৪) জেফ থমসন:
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার জেফ থমসনের নামে ২৫৫টি আন্তর্জাতিক উইকেট রয়েছে। ১৯৭৬ সালে ডাব্লুএএসিএ-র একটি প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি ঘন্টায় ১৬০.৬ কিমি গতিতে বল করে এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। এছাড়াও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি ৬৭৫টি উইকেট নিয়েছেন।
৩) শন টেইট:
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বপরিচিত বোলারদের মতই শন টেইটও তার বোলিং এর গতি অব্যাহত রেখেছিলেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওডিআই ম্যাচে তিনি ঘন্টায় ১৬১.১ কিমি গতিতে বল করে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছর আগে আইপিএল চলাকালীন তিনি এক ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেন।
২) ব্রেট লি:
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ব্রেট লি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেপিয়ারে ঘন্টায় ১৬১.১ কিমি গতিতে বোলিং করেছিলেন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, ব্রেট লি টেস্টে ৩১০টি উইকেট ও ওডিআইতে ২৮০টি উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি সেরা ফিল্ডারদের মধ্যেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
১) শোয়েব আখতার:
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসাবে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে পরিচিত শোয়েব আখতার। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ঘন্টায় ১৬১.৩ কিমি গতিতে বোলিং করে ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম বলটি করেছিলেন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, তিনি টেস্টে ১৭৮টি উইকেট ও ওডিআইতে ২৪৭টি উইকেট নিয়েছেন।