সুনীল ছেত্রীর লাভস্টোরি রোমান্টিক গল্পকেও হার মানাবে, কোচের মেয়েকেই দিয়েছিলেন মন

ভারতীয় ফুটবলার সুনীল ছেত্রীর প্রেমের গল্প কোনও রোমান্টিক সিনেমার চেয়েও কম নয়

সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) ভারতীয় দলের অধিনায়কের পাশাপাশি ভারতের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং বিশ্বের সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চও। তার ক্যারিয়ারের মতই তার জীবন সফল হয়েছে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন এবং তিনি হলেন তার কোচের মেয়ে। তার প্রেম কাহিনী কোন রোমান্টিক সিনেমাকেও হার মানাতে পারে।

এক সাক্ষাৎকারে সুনীল ছেত্রী জানিয়েছিলেন, যখন তিনি সুব্রত ভট্টাচার্যের (Subrata Bhattacharya) অধীনে মোহনবাগানের হয়ে খেলতেন। তিনি কোচের প্রিয় পাত্র ছিলেন এবং সর্বদাই তাকে ‘ছেত্রী’ বলে সম্বোধন করতেন। এই বিষয়টা তার মেয়ে সোনমকে (Sonam) আকৃষ্ট করে এবং তিনি তার বাবার মোবাইল থেকে তার নাম্বার চুরি করে টেক্সট করে বলেন, “আমি আপনার বড় ফ্যান, দেখা করতে চাই।”

Image

এরপর মেয়েটি দেখা করতে এলে, সুনীল তাকে দেখেই বুঝতে পারে সে একটি বাচ্ছা (১৫ বছর) এবং তাকে বলে, যাও এবং গিয়ে পড়াশুনা করো। এরপরই মেয়েটা চলে যায়। কিন্তু তবুও তারা একে অপরকে টেক্সট করা বন্ধ করেনি। এভাবে দুমাস চলে। তখনো বুঝতে পারেনি মেয়েটি আসলে কে? একদিন তার কোচের ফোনটি খারাপ হয়ে গেলে, তিনি সুনীল ছেত্রীকে তার ফোনটি ঠিক করতে দেন।

Image

এই সময় সোনম তার বাবার ফোনে কল করলে সুনীল বুঝতে পারেন, সেই মেয়েটি আর কেউ নন, তিনি তার কোচের মেয়ে সোনম। এটা জানতে পেরে অত্যন্ত রাগ করেন এবং তাকে দেখা করে বলেন, তোমার বাবা জানতে পারলে আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে। তাই আমি এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। কিছুদিন তারা দূরে থাকলেও সুনীল তাকে মন থেকে সরাতে পারেনি এবং তারা গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যায়।

এরপর সময় যত এগোতে থাকে তাদের সম্পর্কের বন্ধন আরো মজবুত হয়। কয়েক বছর পর সুনীল ছেত্রী যখন একজন বিশ্বখ্যাত খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম অর্জন করেন, তখন তিনি অনুভব করেন সোনমকে বিয়ে করার জন্য তার বাবাকে বলার সময় হয়ে এসেছে। তাই তিনি তাদের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি সুব্রত ভট্টাচার্যকে বলেন  এবং তিনিও সম্মতি দেন। আর কয়েক মাসের মধ্যেই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।