জানেন কিছু রেলস্টেশনের নামের শেষে P.H. লেখা থাকে কেন? কারণ জানলে অবাক হবেন

যে কারণে কিছু রেলস্টেশনের নামের পাশে P.H. লেখা থাকে

Indian railways: ভারতীয় রেল পথকে দেশের ‘লাইফলাইন’ (lifeline) বলা হয়। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ রেলের মাধ্যমে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যান। কিন্তু রেল সম্পর্কিত এমন অনেক তথ্য রয়েছে যা অধিকাংশ মানুষই জানেন না।আপনি নিশ্চয়ই কখনো না কখনো দেখেছেন যে স্টেশনের নামের পাশে ‘PH’ লেখা থাকে, জানেন এর অর্থ কি? যদিও খুব কম স্টেশনেই এমনটা দেখা যায়।

প্রথমেই জানিয়ে রাখি ‘PH’ এর অর্থ হলো প্যাসেঞ্জার হল্ট (Passenger Halt)। যখন কোন রেল স্টেশনের নামের সাথে PH লেখা হয়, তখন ওই স্টেশনে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন থামবে। এই স্টেশনগুলি বাকিদের থেকে একটু আলাদা হয়। কারণ এখানে রেলওয়ে কর্তৃক কোনো কর্মচারী নিয়োগ করা হয় না। মূলত, প্যাসেঞ্জার হল্টগুলি হল ডি ক্লাস স্টেশন। এমনকি, এখানে ট্রেনগুলিকে থামার সঙ্কেত দেওয়ার জন্য কোনো সিগন্যালও থাকে না।

Image

স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে, স্টেশনে যখন সিগন্যাল নেই তাহলে সেখানে ট্রেন থামে কি করে? আসলে, ট্রেন চালকরা সাধারণত এই ধরণের স্টেশনগুলিতে প্রায় ২ মিনিটের জন্য ট্রেন থামানোর নির্দেশ পান। লোকো পাইলটরা তাঁদের বিবেচনার ভিত্তিতে এই স্টেশনগুলিতে ট্রেন থামান।

এদিকে, আরও একটি প্রশ্ন মনে হতে পারে যে, যখন কোনো কর্মী ওই স্টেশনে উপস্থিত থাকেন না তাহলে টিকিট পাওয়া যায় কিভাবে বা কে এই টিকিট বিক্রি করেন? মূলত, এই ধরণের ডি ক্লাস স্টেশনগুলিতে, চুক্তি বা কমিশনের ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করার জন্য রেল শুধুমাত্র একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে নিয়োগ করে।

Image

প্রসঙ্গত, এই ধরণের স্টেশনগুলি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। রেল এগুলি থেকে বিশেষ কোনো লাভবান হয় না। তাই স্টেশনগুলির প্রতি তাদের আগ্রহও কম। যদিও, স্থানীয় জনগণের দাবিতে এই ধরণের স্টেশনগুলি চালু রাখতে বাধ্য হচ্ছে রেল। পাশাপাশি, বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরোনো রেল স্টেশনগুলিকেও ফের চালু করা হয়।