ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সচিন টেন্ডুলকারকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একজন ব্যাটসম্যান হিসাবে তার ক্যারিয়ারে খুব সফল ছিল, তবে অধিনায়ক হিসাবে তিনি সফল হতে পারেননি। সচিনের অধিনায়ক হিসাবে যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা হতাশজনক। ভারতের হয়ে তিনি মোট ৯৮টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে ভারত মাত্র ২৭টি ম্যাচ জেতে এবং ৫২টিতে ম্যাচ হারে বাকি ড্র বা অমীমাংসিত।
অধিনায়ক হিসাবে সচিনের সবচেয়ে খারাপ পরাজয় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৯৯৭ সালে, বার্বাডোসে একটি টেস্ট ম্যাচে জয়ের জন্য ভারতীয় দল ১২০ রান তাড়া করতে নামে, কিন্তু ৩৮ রানে হেরে যায়। এই ম্যাচে কেবল ভিভিএস লক্ষ্মণই দুই অঙ্কের রানে করতে পেরেছিলেন। এত খারাপভাবে হেরে সচিন তার দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের উপর ক্রুদ্ধ হন।
ক্রীড়া সাংবাদিক বিক্রান্ত গুপ্ত জানিয়েছেন, সেই ম্যাচটি শেষ হলে সচিন টেন্ডুলকার কে শান্ত করতে সৌরভ গাঙ্গুলী তার ঘরে গিয়েছিলেন। সেখানে আলাপচারিতা হওয়ার পর সচিন পরদিন সকালে গাঙ্গুলীকে দৌড়ানোর কথা বলেন। কিন্তু গাঙ্গুলীকে পরদিন সেখানে দেখা যায়নি। সৌরভের এমন আচরণে সচিন আবারও মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
আসলে এই ম্যাচ হারার পর সচিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন আর প্রতিটি খেলোয়াড়দের নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখার কথা বলেন। সেই সময় গাঙ্গুলী দলে নতুন নতুন এসেছিলেন এবং অধিনায়ক সচিনকে শান্ত করতে তার রুমে যান। সেখানে পরদিন ফিটনেসের জন্য দৌড়ানো কথা বলেছিলেন কিন্তু গাঙ্গুলী আসছে না দেখে সচিন ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন যে তাকে তিনি বাড়ি পাঠাবেন আর তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেবেন। এই ঘটনার পর সৌরভ গাঙ্গুলী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে কখনোই তিনি আর সচিনকে অসন্তুষ্ট করবেন না।