কেউ ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে, কেউ অপমান করেছে, এই একটি গানই বদলে দিয়েছে সোনু নিগমের ভাগ্য

একটিমাত্র গান গেয়েই রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন সোনু নিগম

সোনু নিগম (Sonu Nigam) মানেই রোমান্টিক সুরের রাজা। তার জুড়ি মেলা ভার। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বড়ো বড়ো সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে স্ট্রাগল-সাফল্য-বিতর্ক প্রায় সব এসেছে সোনুর জীবনে। গত ৩০ জুলাই ছিল গায়কের জন্মদিন। ৫০- এ পা দিলেন তিনি। জেনে নিন সোনুর জীবনের অজানা কিছু কথা।

Image

সোনু নিগম ১৯৭৩ সালে দিল্লির ফরিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার কাছ থেকে সঙ্গীতের দক্ষতা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন সোনু। তার বাবা ছোট বেলা গানের প্রতি ঝোঁক দেখে মাত্র ৪ বছর বয়সে মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান করাতে শুরু করেন।

তবে কিন্তু আজ তিনি যে যায়গাতে আছেন, সেখানে পৌঁছতে এক সময়ে মুম্বাইয়ে অনেক ধাক্কা খেতে হয়েছে। লোকেরা তাকে অনেক অপমান করেছে, কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। সোনু যখন মুম্বাই আসেন ক্যারিয়ার গড়তে। যেখানে তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সে সময় কোন মিউজিক কোম্পানিই তাকে সুযোগ দিচ্ছিলেন না।

অনেক পরিশ্রমের পর টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। গুলশানই সোনুকে ‘বেওয়াফা সনম’ ছবিতে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন এবং তিনি এই ছবিতে ‘আচ্ছা সিলা দিয়া তুনে মেরে পেয়ার কা’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। এই গান সুপার হিট প্রমাণিত হয়। যার দরুন রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন সোনু। এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।

বহু সুপারহিট গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সোনু। যেমন ‘স্যান্দেসে আতে হ্যায়’, ‘কভি খুশি কাভি গম’, ‘দো পাল রুকা’, ‘আপনে তো আপনে হোতে হ্যায়’, ‘কাল হো না হো’, ‘সুরজ হুয়া মাধম’ প্রভৃতি। তার গানের জন্য তিনি বহু পুরস্কারও জিতেছেন। ২০২২ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কার সহ একাধিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।