ভারতের এই বিখ্যাত স্থানগুলো আগামী প্রজন্ম আর দেখতে পাবে না, এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের

Some parts of India will disappear: পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যা গ্লোবাল মর্নিং (global warming) এর প্রকোপে ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হতে চলেছে। এবার ভারতেরও কিছু এলাকার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। এমন কিছু জায়গা যেগুলি ২০৫০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর মানচিত্র (world map) থেকে মুছে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা (scientists)। শুনলে অবাক লাগলেও এটাই সত্য, ভূতত্ত্ববিদদের মতে খুব শীঘ্রই হারিয়ে যেতে চলেছে আমাদের অতি পরিচিত কিছু স্থান।   

Image

মাজুলি দ্বীপ (Majuli Island): এর প্রথমেই রয়েছে ভারতের একটি জনপ্রিয় স্থান হল আসামের মাজুলি দ্বীপ। এই দ্বীপটি একসময় ১২০০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল এবং এখানে আগে ২৬০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে মাটি ক্ষয়ের কারণে এই দ্বীপটি জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে এই দ্বীপ পৃথিবী থেকে একেবারেই মুছে যাবে।  

সুন্দরবন (Sundarbans): পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন প্রায় সকল বাঙালিরই একটি প্রিয় স্থান। কিন্তু এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ঘাঁটি খুব শীঘ্রই বিলীন হয়ে যাবে। অনেক বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থল এই অঞ্চল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য দূষণ ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এই স্থানটি বিপন্ন হয়ে পড়ছে। জীবাশ্ম খননের ফলে এই অঞ্চল একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

Image

হেমিস ন্যাশনাল পার্ক ও সিমলা সিভিক সেন্টার (Hemis National Park and Shimla Civic Centre): বিলুপ্ত হওয়ার পর্যায়ে লাদাখের হেমিস ন্যাশনাল পার্ক। এই পার্কটি স্নো লেপার্ডের জন্য খুবই পরিচিত। তবে স্নো লেপার্ডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমায় পার্কটির অস্তিত্ব সংকটের মুখে। অবলুপ্ত হতে চলেছে হিমাচল প্রদেশের সিমলা সিভিক সেন্টারও। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় চলে গিয়েছে।

তাজমহল (Taj Mahal): উত্তরপ্রদেশের তাজমহলও এর প্রকোপ থেকে বাদ যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি যমুনার তীরে নির্মিত। যে কাঠের উপর তাজমহল তৈরি তা যমুনার জল থেকেই শক্তি পায়। কিন্তু যমুনার জল শুকিয়ে যাচ্ছে এবং জলের অভাবে তাজমহলের গোড়ায় পোকামাকড় দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় যমুনা নদী শুকিয়ে গেলে তাজমহলও ভেঙে পড়বে।