মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই তিনটি ‘চমকপ্রদ’ সিদ্ধান্ত, যা ক্রিকেট ইতিহাসে আলাদা ছাপ রেখে গেছে

ক্যাপ্টেন কুলের নেওয়া তিনটি সিদ্ধান্ত চিরকাল অমর হয়ে থাকবে

Mahendra Singh Dhoni’s Birthday: আজ ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক ক্যাপ্টেন কুল (Captain Cool) মহেন্দ্র সিং ধোনির ৪২ তম জন্মদিন। সম্প্রতি আইপিএল ২০২৩ এর ১৬তম মরসুমে পঞ্চম বারের মতো ট্রফি জিতেছেন তিনি। ধোনিই একমাত্র অধিনায়ক যিনি তিনটি আইসিসি ট্রফি জিতেছেন।

ধোনি তার অধিনায়কত্বে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup), ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ (ODI World Cup) এবং ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) জিতেছেন। ক্যাপ্টেন কুলের উপস্থিত বুদ্ধি ও অধিনায়কত্বের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাফল্য ছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় দলকে বিশ্বের এক নম্বর দলে পরিণত করেছিলেন

প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সবসময় তার অধিনায়কত্ব এবং সিদ্ধান্ত দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্মদিন উপলক্ষে তার তিনটি আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে, যাতে তিনি সফল হয়েছিলেন এবং দলকে একটি বড় জয় উপহার দেন।

১) ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে যোগিন্দর শর্মার (Joginder Sharma) হাতে বল তুলে দিয়ে ধোনি সবাইকে অবাক করে দেন। শেষ ওভারে পাকিস্তানের ১৩ রান দরকার ছিল। এই সময় ক্রিজে ছিলেন মিসবাহ উল হক। সবাই ভেবেছিল ভারত ম্যাচ হেরে যাবে। কিন্তু এই আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্ত ভারতকে জয় এনে দিয়েছিল।

২) ২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে কোহলি আউট হতেই যুবরাজের (Yuvraj Singh) জায়গায় ধোনি ব্যাট হাতে নামেন। সেইসময় ক্রিজে ছিলেন গম্ভীর। যদি যুবরাজ নামতেন শ্রীলঙ্কার অফ স্পিনার মুরলীধরন এই দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করতে পারতো। এছাড়া আইপিএলে চেন্নাইয়ের খেলার সময় মুরলীর বল খেলার অভ্যেস ছিল ধোনির। সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী ধোনি ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৩) ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ১২৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল ভারতীয় দল। ম্যাচের বৃষ্টির কারণে পিচের গতি কমে যায়। এইসময় ধোনি তার বিশ্বস্ত স্পিন জুটি জাদেজা ও আশ্বিনকে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের থামাতে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঈশান শর্মার (Ishant Sharma) হাতে বল তুলে দিয়ে সবাইকে অবাক করেন। আর ওই একই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে আউট করে ভারতের জয়ের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ী হয় ভারত।