এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জিনিস, ১ গ্রামের দাম আম্বানি-আাদানির পুরো সম্পদের চেয়েও বেশি

The most expensive thing: যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে এই বিশ্বের সবচেয়ে দামি জিনিস কি হবে, তাহলে হীরা, প্লাটিনাম, সোনা বা ইউরেনিয়ামের মত জিনিসগুলি সম্ভবত আপনার মাথায় আসবে। কিন্তু এদের মূল্য সেই জিনিসের তুলনায় কিছুই নয়, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি পদার্থ বলা হয়।

এই পদার্থের দাম এত বেশি যে ভারতের সবচেয়ে দুজন ধনী ব্যক্তি অর্থাৎ মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ও গৌতম আদানি (Gautam Adani) তাদের পুরো সম্পত্তি বিক্রি করে দিলেও তারা এক গ্রামও কিনতে পারবেন না। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই জিনিসটা কি।

অ্যান্টিম্যাটার (Antimatter) একটি অনুলিপি পদার্থ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর পরমাণুর ভেতরে সবকিছু বিপরীত। একটা সাধারণ পরমাণুর মত ধনাত্মক চার্জসহ একটি নিউক্লিয়াস এবং একটি ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন রয়েছে। আসলে এটি একধরনের জ্বালানি, যা মহাকাশযান এবং বিমানগুলিতে ব্যবহৃত হয়।

Image

সবচেয়ে বড় কথা হলো এটি পৃথিবী বা এর বায়ুমণ্ডলের কাছাকাছি কোথাও পাওয়া যায় না। এই পদার্থটি ল্যাবে প্রস্তুত করা হয়। এই কারণে এটি এত ব্যয়বহুল। এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। একইভাবে এটি হাসপাতালে মেডিকেল ইমেজিং এবং পজিট্রন নির্গমন টমোগ্রাফি (Tomography) হিসেবে তেজস্ক্রিয় অণুতেও ব্যবহৃত হয়।

জানিয়ে রাখি, বর্তমান এক গ্রাম অ্যান্টিম্যাটারের দাম ৯০ ট্রিলিয়ন ডলারের (90 trillion dollar) চেয়েও বেশি। যদি এটি ভারতীয় রুপিতে রূপান্তরিত করা হয় তাহলে এটি হবে প্রায় ৭৩ লাখ বিলিয়ন টাকার সমান। এটির দাম এত বেশি কারণ এটি তৈরিতে কয়েক বছর লাগে এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।

আপনি জেনে অবাক হবেন এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে মাত্র ১০ ন্যানোগ্রাম অ্যান্টিম্যাটার তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি এক গ্রাম অ্যান্টিম্যাটার তৈরি করতে চান তাহলে প্রতি ঘন্টায় ২৫ মিলিয়ন বিলিয়ন কিলোওয়াট (kilowatt) বিদ্যুতের প্রয়োজন।

১৯২৮ সালে বিজ্ঞানী পল ডিরাক প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বের কাছে এটির কথা জানান। এরপর থেকে সমস্ত বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করছেন। কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, যে ব্ল্যাকহোল (black hole) দ্বারা নক্ষত্র দুটি ভাগে বিভক্ত করার ঘটনা ঘটলে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিম্যাটার সৃষ্টি হয়।