বিশ্বের এই ৪ বিখ্যাত বোলারের চেয়েও ওডিআইতে বেশি বল করেছেন শচীন টেন্ডুলকার

সচিন টেন্ডুলকার একজন বিখ্যাত ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও বোলার হিসেবে তার ক্যারিয়ারে রয়েছে বেশ কয়েকটি রেকর্ড রয়েছে – যা আগেই আলোচনা করা হয়েছে আমাদের একটি প্রতিবেদনে। তবে একজন ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি বোলিংয়েও যথেষ্ট অবদান রেখেছেন মাস্টার ব্লাস্টার।  

5 Bowling Performances By Sachin Tendulkar That Saved India From ...

আজকের প্রতিবেদন রয়েছে, ওডিআইতে সচিন টেন্ডুলকার একজন পার্টটাইম বোলার হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি তার ক্যারিয়ারে যত সংখ্যক বল করেছেন তা বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত বোলারের থেকেও বেশি। চলুন তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –

সচিন টেন্ডুলকার ওডিআই ক্রিকেটে ১৫৪টি উইকেট নিয়েছেন যার মধ্যে সর্বোচ্চ বোলিং রেকর্ড হলো ৫ উইকেট ৩২ রান দিয়ে। তিনি তার ওডিআই ক্যারিয়ারে মোট ৮০৫৪টি বল করেছেন। তবে একজন পার্ট টাইমার বোলার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ডেল স্টেইন, মিচেল জনশন, শোয়েব আখতার এবং ইমরান খানের থেকে বেশি বল করেছেন।

১) শোয়েব আখতার: ৭৭৬৪ টি বল 

If India makes 10,000 ventilators for us, Pakistan will remember ...

বিশ্বের দ্রুততম বোলারদের তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আখতার। তার গতি-ই ছিল প্রধান অস্ত্র। বহু ব্যাটসম্যান তার মুখোমুখি হয়ে আহত হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, তিনি ১৬৩ ওডিআই ম্যাচে নিয়েছেন ২৪৭টি উইকেট।

২) ডেল স্টেইন: ৬২৫৬টি বল

Steyn rested for ODI tri-series | cricket.com.au

বিশ্বের বিধ্বংসী বোলারদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হলেন ডেল স্টেইন। প্রায় এক দশক ধরে তার আগুন ঝরানো বোলিংয়ের সামনে ব্যাটসম্যানেরা নাজেহাল হয়েছেন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, তিনি ১২৫ ওডিআই ম্যাচে নিয়েছেন ১৯৬টি উইকেট।

৩) মিচেল জনশন: ৭৪৮৯টি বল 

Mitchell Johnson bowling at ferocious pace in ODI series against England as third game washed out - ABC News (Australian Broadcasting Corporation)

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বাঁহাতি বোলার মিচেল জনসনও এই তালিকায় রয়েছেন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, তিনি ১৫৩ ওডিআই ম্যাচে নিয়েছেন ২৩৯টি উইকেট।

৪) ইমরান খান: ৭৪৬১টি বল

It Is The Biggest Lie, Says Pakistan Fan On Imran Khan's Role In ...

পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার দের মধ্যে ইমরান খান অন্যতম। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জেরে বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। পরিসংখ্যানের কথা বললে, তিনি ১৭৫ ওডিআই ম্যাচে নিয়েছেন ১৮২টি উইকেট। তা সত্ত্বেও তিনি শচীনের তুলনায় আন্তর্জাতিক ওডিআই ম্যাচে অনেক কম বল করেছেন।