ভারতবর্ষে সবচেয়ে বিক্রিত বিস্কুট পার্লে-জি বিস্কুট। এটি কারও কাছে একটি সাশ্রয়ী মূল্যের বিস্কুট ব্রান্ড আবার কারও কাছে অনুভূতির সাথে জড়িত। এই বিস্কুটটি বাজারে যে কোনও জায়গায় সহজেই পাওয়া যায়। আর এও বলা হয়েছে যে গত ২৫ বছর ধরে এই বিস্কুটের দাম ৫ টাকায় রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল এত বছর ধরে বিস্কুটের দাম কিভাবে পাঁচ টাকা থাকে? এই যুক্তিটি বুঝিয়ে দিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ তার অন্তদৃষ্টি মাধ্যমে। সুইগির ডিজাইন ডিরেক্টর সপ্তর্ষি প্রকাশ পার্লে-জি এর পাঁচ টাকা মূল্যের পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
১৯৯৪ সালে পার্লে-জি এর একটি ছোট্ট প্যাকেটের দাম ছিল ৪ টাকা। এরপর এটি এক টাকা বেড়েছে এবং এই প্যাকেটটি পাঁচ টাকায় বিক্রি হতে শুরু করে। আজও এই প্যাকেটটি দাম মাত্র ৫ টাকা। তবে আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন এটা কিভাবে হতে পারে।
ওই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, পার্লে-জি এমন একটি বিশাল খ্যাতি অর্জনের জন্য, একটি দুর্দান্ত মানসিক পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। আসলে তারা দাম বাড়ানোর পরিবর্তে এই ছোট্ট প্যাকেটের ধারণাকে মানুষের মনে ধীরে ধীরে এবং অবিচ্ছিন্নভাবে প্যাকেটের আকার কমিয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রথমে এটি ১০০ গ্রামের প্যাকেট দিয়ে শুরু হয়েছিল। এর কয়েক বছর পর তা কমিয়ে ৯২.৫ গ্রাম করা হয় এবং তারপর ৮৮ গ্রাম। তবে এই অব্দি পাঁচ টাকা দামের ছোট প্যাকেটের ওজন ধীরে ধীরে কমতে কমতে এখন ৫৫ গ্রামে দাঁড়িয়েছে। এটি শুরু হওয়ার পর থেকে ৪৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
এছাড়াও সপ্তর্ষি প্রকাশ আরও বলেন, আলুর চিপস, চকলেট বার এবং টুথপেস্ট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এই কৌশলটিকে ‘গ্রেসফুল ডিগ্রেডেশন’ বলা হয়। এটি এমনভাবে ও দ্রুত পরিবর্তন করা হয় যে উপভোক্তারা এর ফলাফলও অনুভব করতে পারে না।