গান্ধারী কিভাবে ১০০ পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন, জানুন কৌরবদের জন্মের কাহিনী

মহাভারতে কৌরব ও পাণ্ডব ভাইদের মধ্যে বিশাল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিভাবে একজন মা তার ১০০ জন সন্তানকে জন্ম দিয়েছিলেন। জানিয়ে রাখি কৌরবরা হস্তিনাপুরের রাজা ধৃতরাষ্ট্রের পুত্র ছিলেন এবং তার মা ছিলেন গান্ধারী। এরপর অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও গান্ধারীর কোলে কোনও সন্তান আসেনি। একবার ঋষি বেদব্যাসকে খুশি করেছিলেন গান্ধারী এবং তার আশীর্বাদে ১০০ পুত্রের মা হওয়ার আশীর্বাদ পান।

Image

জানিয়ে রাখি, গান্ধারী ৯ মাসের পরিবর্তে দীর্ঘ ২ বছর গর্ভবতী ছিলেন। এরপর প্রসবের সময় প্রবল বেদনার সাথে লোহার মত শক্ত একটি মাংসের পিণ্ড বেরিয়ে আসে অর্থাৎ এতে কোনো সন্তান ছিল না। এরপর ভয় পেয়ে বেদব্যাসকে ডাকা হয়। ব্যাসজি বলেন, চিন্তা করো না তোমার অবশ্যই ছেলে হবে। তিনি বলেন, মাংসের পিণ্ডটা ১০১ ভাগে ভাগ করার পর প্রতিটি টুকরো বিভিন্ন কলসিতে রেখে ঘি ভরে দিতে।

রাজা ধৃতরাষ্ট্রও তাই করেছিলেন। এরপর ১০১টি কলসিতে শিশুর বিকাশ ঘটে। দূর্যোধন প্রথমে জন্মেছিলেন, এরপর দুঃশাসনের জন্ম হয়। ক্রমশ একইভাবে ওই সমস্ত কলসি থেকে সকল শিশু বের হয়ে আসে। এদের বলা হলো কৌরব। মোট ১০০টি পুত্রের জন্ম হয়েছিল এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় যার নাম ছিল দুঃশলা। সে কৌরবদের মধ্যে একমাত্র বোন। এইভাবে গান্ধারী ১০০টি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।

কথিত আছে, এক খন্ড জমি নিয়ে কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে প্রবল যুদ্ধ হয়েছিল। এই ভয়াবহ যুদ্ধে কৌরবদের বোন দুঃশলার স্বামী সিন্ধুরাজ সহ সকল কৌরব ভাই নিহত হন এবং পাণ্ডবেরা বিজয়ী হয়।