জানেন ফাঁসির দড়িতে মোম লাগানো হয় কেন

গত ১১ই আগস্ট বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুর ১১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হয়েছিলেন। ফাঁসি হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে ক্ষুদিরাম বসু নাকি জল্লাদকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন?” যদিও এই বক্তব্য নিয়ে অনেকই মতবাদ রয়েছে।

যাইহোক না কেন ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ফাঁসির মাধ্যমে। অপরাধীর এটাই তার শাস্তি। ফাঁসির দড়িতে ঝোলার সময় দড়িতে মোম দেওয়া হয় যাতে সহজেই দড়ি গলায় বসে এবং খুব তাড়াতাড়ি আসামি মৃত্যুবরণ করে, সেদিকে নজর দেওয়া হয়।

ফাঁসির দড়ি নরম আর মসৃণ করার জন্য সাধারণত বিভিন্ন পিচ্ছিল পদার্থ লাগানো হয় যেমন সবরি কলা, তেল, মোম, ঘি ইত্যাদি। ফাঁসির দড়ি অমসৃণ হলে অপরাধীর গলা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাধারণত ফাঁসি দড়ি এইভাবে প্রস্তুত করা হয়।

বিচারকের আসনে যিনি বসেন তার দায়িত্ব সুষ্ঠু ন্যায় বিচার সম্পাদন করা। দোষীকে সাজা দিয়ে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনার মহান ব্রত তার। তবে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে তাকে নিরপেক্ষ হতে হয় এবং সহানুভূতিশীল। যাকে শাস্তি প্রদান করা হয় তার দুঃখে যদি বিচারকের প্রাণ কাঁদে তবেই সে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে।

আর ঠিক এই কারণেই নজর রাখা হয় যাতে আসামির শাস্তি অর্থাৎ ‘ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ’ দিতে গিয়ে শারীরিক বা মানসিক কষ্ট যাতে না হয় সেটা লাঘব করার জন্যই একান্ত চেষ্টা করা হয়।