Dawood Ibrahim : আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে নাকি বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, যার কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেখানকার অনেক মিডিয়া হাউস দাবি করছে যে দাউদ ইব্রাহিমের অবস্থা গুরুতর এবং তাকে করাচির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
তবে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দাউদ ইব্রাহিম ও করিম লালার (Karim Lala) শত্রুতার গল্প। এও জানিয়ে রাখি, কিভাবে একবার দাউদ ইব্রাহিমকে রাস্তার মাঝখানে দৌড় করিয়ে করিম লালা মারধর করে। দাউদ যখন মুম্বাইয়ে ডন হয়ে উঠছিলেন, তখন তার সামনে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। প্রথম করিম লালা এবং দ্বিতীয় হাজী মাস্তান।
বিশেষ করে করিম লালা দাউদ ইব্রাহিমের জন্য বড় বাধা ছিলেন, এই কারণেই দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে করিম লালার শত্রুতা বেড়ে যায়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিম ও করিম লালা মক্কায় দেখা করেন এবং এই বৈঠকের পর তাদের শত্রুতার অবসান ঘটে।
কথিত আছে, এর পর দাউদ বড় হতে শুরু করে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও পা রাখতে শুরু করে। আশির দশকে দাউদ ইব্রাহিম ও করিম লালার মধ্যে প্রায়ই গ্যাং ওয়ার চলত। এদিকে করিম লালার পাঠান গ্যাং দাউদের ভাই শাব্বিরকে হত্যা করে।
এর পর দাউদও করিম লালার ভাই রহিম খানকে খুন করে। এ কারণে করিম লালা দাউদকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর একটা দিন এলো যখন মুম্বাইয়ে রাস্তার মাঝখানে করিম লালার হাতে ধরা পড়েন দাউদ ইব্রাহিম। সেদিন করিম লালা দাউদকে রাস্তায় ছিটকে ফেলে এবং প্রচুর লাথি ও ঘুষি মারেন।
এই হামলার পর দাউদ ইব্রাহিমের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়। এই মারধরের পর দাউদ আর কখনও করিম লালাকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেননি। করিম লালা ৯০ বছর বয়সে ২০০২ সালে মুম্বাইয়ে মারা যান।