জানেন টাইটানিকের একটি টিকিটের মূল্য কত ছিল? মুকেশ আম্বানি হলেও কিনতে ১০বার ভাবতেন!

টাইটানিক জাহাজের টিকিটের দাম শুনলে অবাক হবেন

The Titanic: টাইটানিক দুর্ঘটনাকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয়। তবুও টাইটানিক নিয়ে এমন অনেক ইতিহাস রয়েছে, যার গল্প আজও মানুষ শুনতে চায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো ১৭ তলা ভবনের চেয়েও উঁচু এই জাহাজটি তার প্রথম সমুদ্রযাত্রাতেই ডুবে গিয়েছিল এবং ১৫১৩ জনের প্রাণ যায়।

সেই মর্মান্তিক ঘটনার রাতটি ছিল ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল। আপনি নিশ্চয়ই টাইটানিক সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য শুনেছেন, তবে এই প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে এই জাহাজে ভ্রমণের জন্য কত টাকার টিকিট কাটতে হয়েছিল যাত্রীদের। ১৯ শতকের টাইটানিক জাহাজটি মানুষের কাছে এক আশ্চর্য চেয়েও কম ছিল না।

জাহাজ নির্মাতারা দাবি করেছিলেন এটি কখনোই সাগরে ডুববে না। এই জাহাজের উচ্চতা ছিল একটি ১৭ তলা বিল্ডিংয়ের সমান, একইভাবে এই জাহাজটি চালানোর জন্য প্রতিদিন ৮০০ টন কয়লা খরচ হয়েছিল। এটি তিনটি ফুটবল মাঠের সমান ছিল। এসত্ত্বেও জাহাজটি তার প্রথম সমুদ্রযাত্রায় ডুবে যায়।

এই জাহাজের যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের জন্য খাবার ও পানীয়ের সমস্ত ব্যবস্থা ছিল। এই জাহাজটি বিশ্বের প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত ছিল। এই জাহাজে ৮৬ হাজার পাউন্ড মাংস, ৪০ হাজারের বেশি ডিম, ৪০ টনের বেশি আলু, ৩৫০০ পাউন্ড পেঁয়াজ এবং এক হাজার রুটির প্যাকেট ছিল। এরপরও খাওয়া দাওয়ার অনেক কিছুই ছিল।

টাইটানিক জাহাজে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর সুবিধা ছিল অর্থাৎ যাত্রীরা যে শ্রেণীর টিকিট কেটেছিলেন তাকে সেই ধরনের সুবিধা দেওয়া হত। তবে ভাড়াও সেই অনুযায়ী নেয়া হতো। যত ভালো সুবিধা তত দামি টিকিট। জানা যায়, টাইটানিকের প্রথম শ্রেণীর টিকিটের মূল্য ছিল ৪৩৫০ ডলার, যা আজকের হিসাবে সাড়ে তিন লাখ টাকারও বেশি।

তবে ১০০ বছর আগে যদি কোন টিকিটের মূল্য তিন লাখ হয়, আজ তা ৩০ কোটি টাকারও বেশি। অন্যদিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য ১৭৫০ ডলার, যা আজকের মূল্য অনুসারে প্রায় দেড় লাখ টাকা হবে। আর তৃতীয় শ্রেণীর টিকিটের জন্য ৩০ ডলার দিতে হতো, যা প্রায় ২৪০০ টাকা হবে। যাইহোক ১০০ বছর আগে ২৪০০ টাকাও একটি বিশাল পরিমাণ ছিল।