পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘পিটিভি স্পোর্টস’-এর ‘গেম অন হ্যায়’ অনুষ্ঠানে শোয়েব বলেন, , পাকিস্তানের কিছু ক্রিকেটার কানেরিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। দানিশ কানেরিয়ার ধর্মবিশ্বাসের কারণে তার সঙ্গে বসে খেতে চাইতেন না কিছু খেলোয়াড়। পাকিস্তানের সাবেক পেসারের দাবি সমর্থন করেছেন কানেরিয়া। পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলা দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার কানেরিয়া।
পাকিস্তানের হয়ে ৬১ টেস্টে ২৬১ উইকেট নেওয়া কানেরিয়াকে নিয়ে শোয়েব বলেন, ‘এই হিন্দু ক্রিকেটারটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের টেস্ট জিতিয়েছে। কানেরিয়াকে ছাড়া আমরা সিরিজ জিততে পারতাম না। কিন্তু এ জন্য খুব বেশি লোক তাকে কৃতিত্ব দেয়নি।’
শোয়েব আক্তারের মুখ থেকে পরিষ্কার জানা গেছে, দানিশ কানেরিয়া শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে অন্যান্য পাকিস্তানি মুসলিম ক্রিকেটাররা তার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করতেন। এমনকি একসাথে কখনোই খাওয়া-দাওয়া করতেন না। ঠিক একইভাবে ইউসুফ ইউহানা কেও একই রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল পরবর্তীতে তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে মোহাম্মদ ইউসুফ নাম রাখেন।
শোয়েব এমন কথা বলার পর কানেরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সংবাদ সংস্থা পিটিআই। কানেরিয়া এ নিয়ে বলেছেন, খেলোয়াড়ি জীবনে এ নিয়ে কথা বলার সাহস ছিল না। সত্যিটা তুলে ধরার সাহস নেই তাঁর। কিন্তু এ দিন বলেন, শোয়েবের সাক্ষাৎকার বুকে বল জোগাচ্ছে। ক্রিকেটার হিসেবে দেশের হয়ে ঘাম ঝরানোর সময়ে যাঁরা তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন, তাঁদের মুখোশ খুলে দেবেন বলে স্থির করেছেন কানেরিয়া।
বর্তমানে কানেরিয়া মোটেও ভালো নেই। পাকিস্তানের ক্রিকেট সংগঠক থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছেও সাহায্য চেয়েছেন নিষিদ্ধ এই লেগি। এক বিবৃতিতে কানেরিয়া বলেছেন, ‘আমার জীবনটা ভালো চলছে না। অনেকের কাছে সমস্যা থেকে মুক্তির সমাধান চেয়েছি। কেউ সাহায্য করেনি।
যদিও পাকিস্তানে অনেক ক্রিকেটারের সমস্যারই সমাধান করা হয়েছে। ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানকে নিজের সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি এবং তা নিয়ে আমি গর্বিত। এই সমস্যাসংকুল মুহূর্তে আশা করছি পাকিস্তানের লোকেরা আমাকে সাহায্য করবে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পাকিস্তানের সকল কিংবদন্তি ক্রিকেটার, সংগঠক এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাহায্য চাচ্ছি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।’