বর্তমান বাজারে বিভিন্ন পণ্য এলেও মানুষ এখনও বোরোলিন ক্রিম ব্যবহার করেন। বোরোলিন প্রায় ৯২ বছরে যাত্রা শেষ করেছে। এটি কেবল সৌন্দর্য পণ্য হিসেবে দেখা হয় না প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সেও দেখা যায়। ‘অ্যারোমেটিক অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বোরোলিন …’ গত শতাব্দীর এই জিংলটি কে ভুলতে পারে।
১৯২৯ সালে কলকাতার গৌর মোহন দত্ত একটি ভারতীয় ব্র্যান্ডের অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় ব্রিটিশ আমলে বাজারে দামি ক্রিম পাওয়া যেত, যা সাধারণ মানুষের নাগালে বাইরে ছিল। এইজন্য তিনি বোরোলিন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন যাতে প্রতিটা ভারতীয় ব্যবহার করতে পারে।
গৌর মোহন দত্ত বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারতকে সাহায্য করার সর্বোত্তম উপায় হল এটিকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। তাই তারা এমন পণ্য তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। ভারতকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর করার স্বপ্নকে হৃদয়ে রেখে তিনি নিজের বাড়িতে তৈরি করা শুরু করেন।
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারত যখন স্বাধীন হয় এই খুশির উপলক্ষে কোম্পানিটি সাধারণ জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে এক লাখের বেশি বোরোলিনের টিউব বিতরণ করে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির দুটি প্লান্ট রয়েছে একটি কলকাতায় অন্যটি গাজিয়াবাদে।
আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে সবুজ টিউব বোরোলিনের উপর হাতির তৈরি একটি লোগো রয়েছে। হাতি চিহ্নটি লোগোতে ব্যবহার করার কারণ ছিল এটি বিশাল ভারতের সংস্কৃতি বহন করে। বোরোলিন এখনও এলিফ্যান্ট ক্রিম হিসেবে স্বীকৃত।