২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। উভয়ই সেমিফাইনালে দুর্দান্ত জয় পেয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছে। শেষবার ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল, সেবার কিউইদের ৭ উইকেটে পরাজিত করে পঞ্চম বারের শিরোপা জিতেছিল ক্যাঙ্গারুরা।
তবে কেন উইলিয়ামসনরা অতীতে যন্ত্রণা ভুলে গেলেও বদলাটা এখনও শিরায় শিরায় রয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও প্রতিপক্ষদের এক ইঞ্চিও সুযোগ দেবে না। সেমি ফাইনালের মতই ফাইনালে আরো রোমাঞ্চকর ম্যাচ হতে চলেছে এবং এই নিয়ে দুই শিবিরে বাড়ছে স্নায়ুচাপ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোন দল জিতবে এই নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা নিছক বোকামি। এই খেলায় একটি ভালো ওভার কিংবা একটি ঝড়ো ইনিংস ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা বললে, নিউজিল্যান্ড প্রথমে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিউই দলের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মাত্র ৩৯ রানে ফিরে যান। এরপর গ্রান্ট এলিয়ট (৮৩) ও রস টেলরের (৪০) ১১১ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ড ভালো অবস্থায় পৌঁছায়। কিন্তু এর ঠিক ৩৩ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়। মিচেল জনসন ৩টি, জেমস ফকনার ৩টি ও মিচেল স্টার্ক ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
জবাবে অস্ট্রেলিয়া দল শুরুতেই অ্যারন ফিঞ্চের (০) উইকেট হারায়। এরপর কিউই বোলাররা অস্ট্রেলিয়াকে আর চাপে রাখতে পারেনি। ডেভিড ওয়ার্নার দুর্দান্ত (৪৫) ব্যাটিং করেন। এরপর স্টিভ স্মিথ (৫৬*) ও অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের (৭৪) ১১২ রানের জুটিতে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। অস্ট্রেলিয়া ৩৩.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে চ্যাম্পিয়ন হয়। ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন জেমস ফকনার। আর গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মিচেল স্টার্ক ২২টি উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয়েছিলেন।