এই ভয়ানক হ্রদটি দক্ষিণ আফ্রিকার তানজানিয়ার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। লবণাক্ত হ্রদটির নাম ‘নেট্রন’। এর আয়তনের কথা বললে দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ২২ কিলোমিটার। আশেপাশের বেশ কয়েকটি উষ্ণ প্রস্রবনের জল এই হ্রদে গিয়ে মেশে। তাই ‘নেট্রন’ বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ।
২০১১ সালে ওয়ার্ল্ড লাইফের একজন ফটোগ্রাফার এই হ্রদের কাছাকাছি গিয়ে চমকে গিয়েছিলেন। সেখানে অসংখ্য পশুপাখির দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে। তিনি জানান সেগুলো দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোন পাথরের মূর্তি সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
এই রহস্যময় ঘটনার কথা জানতে শুরু হয় গবেষণা। জানা যায় এই হ্রদের জলে অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম কার্বনেট এবং সোডা রয়েছে। এর ফলে হ্রদের জল অস্বাভাবিক ক্ষারধর্মী, যার পিএইচ এর মাত্রা ১০.৫। এটি চামড়াকে পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। পশুপাখির ক্ষেত্রে তা একেবারেই সহনীয় নয়।
বছরের অধিকাংশ সময় এই হ্রদের জলের তাপমাত্রা ৬০° সেলসিয়াস থাকে। এর ফলে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায় আর তলদেশ পরে থাকে জলের মতো তরল লাভা। সোডিয়াম ও কার্বনেট এর জন্য এই হ্রদে এমন এক অণুজীব জন্ম নেয় যার জন্য এই হ্রদের জলের রং হয় লাল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পশুপাখিরা এই রঙে আকৃষ্ট হয়ে হ্রদে নামে। যার ফলে মৃত্যু হয় তাদের।