নব্বইয়ের দশকের ‘পেয়ার মে কভি কভি’ এই ফিল্মের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন রিঙ্কি খান্না (Rinke Khanna)। তিনি যখন বলিউডে আসেন, তখন তাঁর পরিচয় শুধুই ছিল রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কাপাডিয়ার কনিষ্ঠ কন্যা ও টুইঙ্কল খান্নার (Twinkle Khanna) বোন। রিঙ্কির দক্ষ অভিনয় সত্ত্বেও তার কেরিয়ারের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে।
একসময় ‘জিস দেশ মে গঙ্গা রহেতা হ্যায়’, ‘ঝঙ্কার বিটস্’, ‘চামেলী’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন রিঙ্কি খন্না। তবে কোনওটাই বক্স অফিসে বাণিজ্যিক সাফল্য পায়নি। ২০০৩-এ বিয়ে করেন নায়িকা। এরপরই একরকম ভ্যানিশ হয়ে যান সিলভার স্ক্রিন থেকে।
২০০৪ সাল অবধি লাগাতার ফিল্মে অভিনয় করেছেন রিঙ্কি। অভিনয় করেছেন তামিল ফিল্মেও। কিন্তু আর সফলতা পাননি। কিন্তু তারপরেও শুধুমাত্র রাজেশ ও ডিম্পলের মেয়ের পরিচয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনকি বর্তমানে তাঁর পরিচয় অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) শ্যালিকা হিসাবে।
অথচ রিঙ্কির অভিনয়ে ছিল ডিম্পলের ছাপ। তিনি যখন বলিউডে আসেন, তাঁর অভিনয় দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন রাজেশ ও ডিম্পলের যোগ্য উত্তরসূরীর আবির্ভাব ঘটল। তাঁর দিদি টুইঙ্কল কোনোদিনই অভিনয়কে সিরিয়াসলি নেননি।
শত অভিমান বুকে নিয়ে ২০০৩ সালের ৪ ই ফেব্রুয়ারি সমীর শরণকে বিয়ে করে লন্ডনে পাড়ি দেন রিঙ্কি। বিদায় জানান বলিউডকে। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় রিঙ্কি অভিনীত শেষ ফিল্ম ‘চামেলি’। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ নন রিঙ্কি। তবে তাঁর কন্যা নায়োমিকার সাথে ছবি প্রকাশ্যে আসার পর আবারও নতুন করে খবরের শিরোনাম তৈরি করেছেন।
আসলে বলিউডি কেরিয়ারের ইতি ঘটিয়ে তিনি ব্যবসায় মন দিয়েছিলেন। আজ তিনি একজন সফল বিজনেস মহিলা। বলি পাড়া ছেড়ে যাওয়ার পর ফিল্মি পার্টিতেও খুব একটা দেখা যেত না রিঙ্কিকে। এখনও তিনি ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই বেশি স্বচ্ছন্দ।