তিমি মাছের বমি কালোবাজারিতে বিক্রি হয় কোটি টাকায়, জানেন এটি এত মূল্যবান কেন?

যে কারণে তিমির বমি এত বেশি মূল্যবান হয়ে থাকে

Whale Vomit: অনেক মানুষই আছেন কাউকে বমি করতে দেখলেও বমি পায়। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন, কোনও প্রাণীর বমি বাজারে বিক্রি হয়? তা-ও আবার কোটি-কোটি টাকায়। শুনে অবাক হলেন তো? এটি একেবারেই সত্য। তিমি মাছের বমি বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকায়। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, এই মাছের বমির মধ্যে এমন কী আছে যে এত দাম? 

তিমি মাছের বমিকে অ্যাম্বারগ্রিস (Ambergris) বলে। তিমির পাকস্থলিতে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হতে বছরের বেশি সময় লেগে যায়। তিমি হাজার হাজার স্কুইড খায়। মাঝে মাঝে সেই স্কুইড পাকস্থলি ও অন্ত্রের মাঝখানে জায়গায় গিয়ে জমা হয়। আর সেটাই দীর্ঘদিন পর অ্যাম্বারগ্রিসে পরিণত হয়। পরে এক সময় তিমি তা মুখ দিয়ে বের করে দেয়। অ্যাম্বারগ্রিস খানিকটা মোমের মতো পিচ্ছিল হয়।

তবে প্রথমে যখন তিমির মুখ থেকে বের হয় তখন সেটাতে কিছুটা বাজে গন্ধ থাকে। কিন্তু যখন তীরে আসার পর এটা আস্তে আস্তে শক্ত হয়, তখন এর দারুণ গন্ধ হয়। এজন্য সুগদ্ধি তৈরিতে ব্যাপক চাহিদা এই অ্যাম্বারগ্রিসের। বিশ্বের বিভিন্ন দামি সুগন্ধি ছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই অ্যাম্বারগ্রিস। তাই তিমি মাছের বমিকে বিজ্ঞানীরা ‘ভাসমান সোনা’ বলে থাকেন।

তবে ভারতীয় আইন অনুসারে অ্যাম্বারগ্রিস অর্জন বা বিক্রি করা অপরাধ। সম্প্রতি রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই) একটি অ্যাম্বারগ্রিস চোরাচালান র‌্যাকেটকে ফাঁস করেছে। ডিআরআই তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন উপকূলে ১৮.১ কেজি অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধার করেছে, যার দাম কালোবাজারে প্রায় ৩১.৬৭ কোটি টাকা। 

বিজ্ঞানীদের মতে, তিমি মাছের বমিতে অ্যালকোহল থাকে। কিন্তু প্রথমে, এর গন্ধ মলের মতো হয়। ধীরে-ধীরে তা কাদামাটির মতো হতে থাকে। তারপর জলে থাকা অবস্থায়, তা ঠাণ্ডা হয়ে পাথরের মতো হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি পেতে কিছু লোক অবৈধভাবে তিমি মাছ শিকার করে পাচার করে।