Indian Railways: ভারতীয় রেলকে দেশের ‘লাইফলাইন’ (lifeline) বলা হয়। এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। এই প্রতিবেদনে এমনই এক রেলপথের কথা বলা হয়েছে যা ভারত সরকারের অধীনে নয়। এর নাম শকুন্তলা রেলওয়ে (Shakuntala Railway)। আজও ব্রিটিশদের (British) দখলে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই রেলপথটি ব্রিটিশদের দখলে রয়েছে। শকুন্তলা রেলপথটি মহারাষ্ট্রের অমরাবতী থেকে মর্তুজাপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার বিস্তৃত। আসলে সেই সময় অমরাবতীতে তুলা চাষ হতো এবং ব্রিটিশরা মুম্বাই বন্দরে (Mumbai port) তুলা নিয়ে যাওয়ার জন্য এই রেলপথটি তৈরি করেছিল।
ব্রিটিশ আমলে শকুন্তলা প্যাসেঞ্জার নামে একটি ট্রেন চলত বলে, এই রেলপথটিরও নাম হয়ে যায় শকুন্তলা রেলপথ। বাষ্পীয় ইঞ্জিন দ্বারা পাঁচটি বগি নিয়ে ছুটত এই ট্রেন। আপনি যদি এই রেলপথে যান তাহলে ব্রিটিশ আমলের সংকেত থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসগুলি সবই দেখতে পাবেন। এই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি প্রায় ১৭টি স্টেশনের থামে এবং ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শেষ করে।
স্বাধীনতার পর ১৯৫২ সালে যখন রেলের জাতীয়করণ করা হয়েছিল তখন এই অংশটি ভারতের অধীনে আসেনি। তখন বৃটেনের কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি হয়, যে কারণে আজও তাদের প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার কর দিতে হয়। যদিও ভারতীয় রেল বহুবার এটি কেনার প্রস্তাব দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শকুন্তলা রেলপথটি অনেক পুরনো হওয়ায় জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যদিও ভারত সরকার প্রতিবছর এই ব্রিটিশ রেলওয়ে কোম্পানিকে কোটি টাকার কর প্রদান করে, কিন্তু এখনো এই রেলওয়ের মেরামতের কাজ গত ৬০ বছর ধরে হয়নি। এ কারণে ট্রেনটির গতিবেগ এখন ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার। যদিও ২০২০ সাল থেকে এই ট্রেনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, তবে এলাকাবাসীরা আবার চালু করার দাবি করছে।