ফরম্যাট যেমনই হোক না কেন সেঞ্চুরি করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যদিও খেলোয়াড়রা ওয়ানডে টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করার জন্য সময় পেয়ে থাকে কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করতে হলে ব্যাটসম্যানকে খুবই দ্রুত রান করতে হয়। এই প্রতিবেদনে, এমন ৩ জন খেলোয়াড়ের কথা বলা হয়েছে যারা আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এবার দেখে নেওয়া যাক:
৩) ডেভিড মিলার:
দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার ‘কিলার মিলার’ নামটি পেয়েছিলেন আইপিএল খেলার সময়ে। ২০১৩ আইপিএলের দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন এবং ওই পুরো টুর্ণামেন্টে তিনি ৬০ গড়ে রান করেছিলেন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলার সময় তিনি আরসিবির বিরুদ্ধে একটি ঝোড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এই ম্যাচে আরসিবি দল প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল।
পাঞ্জাবের ৫১ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় কঠিন বিপাকে পড়ে দলটি। এই সময় ডেভিড মিলার ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে ওঠেন। ১৫ তম ওভারে তিনি ২৫ রান নেন এবং ১৮তম ওভারে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন। এই ম্যাচে ডেভিড মিলারের সেঞ্চুরিটি এসেছিল মাত্র ৩৮ বলে।
২) ইউসুফ পাঠান: ৩৭ বলে
ইউসুফ পাঠান যখন ফর্মে ছিলেন তখন তাকে আটকানো যেকোনও বোলারের পক্ষে কঠিন ছিল। ২০১০ আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২১৩ রানের বিশাল স্কোরকার্ড খাড়া করে। জবাবে রাজস্থানের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি এবং প্যাভিলিয়নে ফিরে যান টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা।
এরপর ইউসুফ পাঠান ধীরে ধীরে তার ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তিনি রান আউট হয়ে যান এবং কয়েক রানের জন্য ম্যাচটি হাতছাড়া হয়। পাঠানের এই ইনিংসটিকে অন্যতম সেরা ইনিংস বলে বর্ণনা করেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন।
১) ক্রিস গেইল: ৩০ বল
আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটি রয়েছে ক্রিস গেইলের দখলে। পুনে ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ক্রিস গেইলকে রুখতে স্পিনারদের প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্তু কোন পার্থক্য করতে পারেননি। সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি নিজেই বল করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ফিঞ্চের সেই ওভারে ক্রিস গেইল ২৯ রান নিয়েছিলেন।
অশোক দিন্দা বোলিং করতে এলেও গেইল দর্শকদের মধ্যে বল পাঠান। ওই ম্যাচের ৯ ওভারে সেঞ্চুরি এসেছিল ক্রিস গেলের ব্যাট থেকে। আর সেঞ্চুরি হাঁকাতে তিনি মাত্র ৩০টি বলের মুখোমুখি হয়েছিলেন। গেইল ৬৬ বলে ১৭৫ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলে আরসিবি দলকে সহজেই জয় এনে দেন।