ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ ৩ ক্রিকেটার, আবারো কলঙ্কিত হলো পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ড

আবারো ক্রিকেটে কলঙ্কিত হলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। স্পট ফিক্সিং মামলায় পাকিস্তানের ক্রিকেটার নাসির জামশেদকে ১৭ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নাসির জামশেদ, ব্রিটিশ নাগরিক ইউসুফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ এজাজকে পাকিস্তান পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত তিনজনই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। নাসির জামশেদের পাশাপাশি অন্য দুই আসামিকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। আনোয়ারকে ৪০ মাস এবং ইজাজকে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Image result for nasir jamshed

নাসির জামশেদ এবং অন্য দু’জনকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পিএসএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড এবং পেশোয়ার জুলমির মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন ইচ্ছাকৃতভাবে বাজে খেলায় খেলোয়াড়দের ৩০,০০০ ডলার অফার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এটি ফাঁস হলে এই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্ত চলাকালীন, আর জানা গিয়েছে এই তিনজন ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল ম্যাচটিও ফিক্সিং করার চেষ্টা করেছিল। তবে পরে সেসব অভিযোগগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়। জামশেদের বিরুদ্ধে বর্তমানে কেবল পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হবার পরেই শাস্তি দেওয়া হল।

এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে নাসির জামশেদকে কেবল ১৭ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়নি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট তাকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। জামশেদ ইসলামাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজের শারজিল খানকে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুটি বল খেলতে বলেছিল। ইতিমধ্যেই শারজিলকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি।

পাকিস্তানের হয়ে তিনি ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ২টি টেস্ট এবং ৪৮টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন নাসির জামশেদ। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও কোনরকম ভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি। তার স্ত্রী জানিয়েছেন যে, নাসির শর্টকাট পথে হাটতে গিয়ে আজ তাকে সবকিছু হারাতে হলো। নাসির ব্রিটেনের নাগরিত্ব নিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেতেন কিন্তু এবার সেই সুযোগও তিনি পাবেন না।