Facts
হিন্দু রীতিতে বিবাহের সময় নবদম্পতিকে সাতপাকে ঘোরানো হয় কেন?
ভালোবাসা পূর্ণতা পায় বিবাহের মাধ্যমে। বিবাহের মাধ্যমে সুখে দুঃখে সব সময় একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বিবাহের পরে স্বামী স্ত্রী যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে। যখনই এই বিবাহের মধ্যে ভালোবাসা, নিষ্ঠা, যত্ন, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস থাকবে তখনই বিয়ে এক অন্যরকম সাফল্য লাভ করবে। তবে এই বিয়ে মানে যে শুধুমাত্র দুটি মনের মিলন তা একেবারেই নয়, বিয়ে মানে এক পরিবারের সাথে অন্য পরিবারের মিলন।
এই বিয়ের নিয়ম এক এক ধর্মে এক এক রকম হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি হিন্দু ধর্মের বিবাহেও কিছু নিয়ম মানা হয়। যেমন- গায়ে হলুদ, শুভদৃষ্টি, খই পোড়ানো, সিঁদুর দান, সাত পাকে ঘোরা ইত্যাদি। এছাড়া হিন্দু মতে অগ্নি কে সাক্ষী রেখেও বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। এই বিয়েতে সাত পাকে ঘোরা অনিবার্য হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে বিয়েতে সাত পাকে কেন ঘোরা হয়, এর মাহাত্ম্যই বা কি?
আমরা সকলেই জানি যে, বিবাহের সময় নব বর বধূ অগ্নির চারপাশে সাত বার ঘুরে থাকে। একে অনেকে সাত পাকে বাঁধা পরাও বলে। পুরান মতে আগুনের চারপাশে ঘোরা হয় অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রাখার জন্য। নব বর বধূ সারা জীবনের জন্য একে অপরের প্রতি কিছু অঙ্গীকার রাখে অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী করে।
অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রাখার কারণ হল যে অঙ্গীকারগুলো নেওয়া হয় তার যেন কোনো অমর্যাদা না করতে পারে। এই অঙ্গীকার গুলি হল, স্বামী স্ত্রীর প্রতি ও স্ত্রী স্বামীর প্রতি খুব নিষ্ঠাশীল হবে। এছাড়া আরো অঙ্গীকার করা হয় যে তারা যেন একে অপরের প্রতি দায়িত্ব, কর্তব্য, সমর্থন, দুঃখ-কষ্ট সবকিছু শেষ দিন অব্দি নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলবে।
