Computer Mouse: কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যেকোনো কাজকে দ্রুত সম্পাদন করতে ‘মাউস’ এর বিকল্প নেই। আমরা স্ক্রিনে একটি ফাইলকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরাতে বা একটি আইকনে ক্লিক করতে মাউসের সাহায্য নিই। কিন্তু আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন কম্পিউটারের এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটির নাম একটি ছোট প্রাণী ইঁদুরের নামে রাখা হলো কেন!
জানিয়ে রাখি ১৯৬০ সালে ডগলাস কার্ল অ্যাঙ্গেল বার্ট কম্পিউটারের এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস অর্থাৎ মাউস আবিষ্কার করেন। মাউস যখন আবিষ্কৃত হয় তখন একে ‘পয়েন্টার ডিভাইস’ বলা হতো। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো ডগলাস কার্ল অ্যাঙ্গেল বার্ট কাঠ দিয়ে পৃথিবীর প্রথম মাউস তৈরি করেন। এছাড়া এতে দুটি ধাতব চাকাও ছিল।
মাউস যখন আবিষ্কার হয় তখন এর নামকরণ করতে হতো। কিন্তু এর নকশার উপর ভিত্তি করে দেখা যায় যে এই ছোট্ট যন্ত্রটিকে দেখতে একটি লুকিয়ে থাকা ইঁদুরের মতো লাগছে। তাছাড়াও এর পেছন থেকে বেরিয়ে আসা তারটি ইঁদুরের লেজের মতো ছিল। শুধু তাই নয়, ইঁদুর যেভাবে দ্রুত সব কাজ করে, তেমনি মাউস সব দ্রুত কাজ করে ফেলত। এসব কারণের জন্যই ডিভাইসটির নাম দেওয়া হয় মাউস।
তবে জানিয়ে রাখি, মাউস বা পয়েন্টার ডিভাইস ছাড়াও এর আরেকটি নাম ‘টার্টল’ (যার বাংলায় অর্থ কচ্ছপ)। কারণ এই কম্পিউটার ডিভাইসের খোলসটি কচ্ছপের মতো শক্ত এবং এর আকারও প্রায় একই রকম। কিন্তু কচ্ছপের গতি খুবই কম হওয়ায়, একে মাউস বলা হয়।
তবে সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিটি পুরনো জিনিসে কিছু না কিছু পরিবর্তন এসেছে যার কারণে আমাদের কাজ আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। আজকাল বাজারে ওয়্যারলেস মাউসও পাওয়া যায়, যেগুলো ব্লুটুথ এর মাধ্যমে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট থাকে।